বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস স্কেলের আলোকে বেতন কাঠামো ও স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি প্রণয়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রায় ২০০ কর্মচারী।
সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
কর্মবিরতির সময় আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ সময় বক্তারা বলেন, বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অধীন আলাদা সচিবালয় গঠন, যাতে অধস্তন আদালত ও ট্রাইবুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া। একইসঙ্গে, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পথ সৃষ্টি করে, যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ বিধি প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
তাদের আরও দাবি, বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ্ধতিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে একটি স্বতন্ত্র নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির নিশ্চয়তা দিতেও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের তুলনা সহকারী মো. মশিউর রহমান বলেন, আদালতের সহায়ক কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথককরণের পর বিচারিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিষয়ে আশ্বাস থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের জন্য জুডিশিয়াল সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে কোনো পৃথক স্কেল বাস্তবায়ন হয়নি। বিচারকদের সাথে আদালতের সহায়ক কর্মচারীরাও বিচার বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও তাদেরকে এখনো প্রশাসনিক কর্মচারী হিসেবে গণ্য করা হয়, যা দুঃখজনক।
জেলা জজ কোর্টের নাজির আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ জুডিশিয়াল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক দাবিসমূহ তুলে ধরা হলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগীয় সচিবালয় গঠন করতে হবে এবং অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীদের বিচার বিভাগের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে