নওগাঁর মান্দায় ছাত্রীকে বিয়ে করে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলা ঘটনায় আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা মান্দা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অভিযুক্তের প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনকেও সহযোগী আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেলে নাটোরের বনপাড়া এলাকা থেকে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৫ এর একটি দল।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মার্চ এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে বিয়ের মাধ্যমে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে ঘরে তোলেন আকরাম হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক প্রতিবাদ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে এলাকাবাসী। অভিযোগ তদন্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে প্রধান শিক্ষক বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও ভিডিও ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য তার বিপক্ষে যায়।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, "বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন এবং তার প্রথম স্ত্রী স্বপ্না খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।"
উল্লেখ্য, ঘটনার পর প্রধান শিক্ষকের দ্বিতীয় স্ত্রী রীনা আক্তার পুতুল সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে ফিরে যান। এলাকাবাসী অভিযুক্তের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছেন।
একুশে সংবাদ//ন.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :