AB Bank
  • ঢাকা
  • শনিবার, ১০ মে, ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শ্রীমঙ্গলে পানির অভাবে বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির, ফলন নিয়ে কৃষকরা হতাশ



শ্রীমঙ্গলে পানির অভাবে বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির, ফলন নিয়ে কৃষকরা হতাশ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পানির অভাবে চলতি বোরো ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে বোরো ধানের চারা। জমি চাষ, শ্রমিকের মজুরি, তেলের দাম বৃদ্ধি, সার ও কীটনাশকের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। ফলে ধান উৎপাদনে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হবে সে আশা এখন গুড়েবালি। ক্ষেতে বোরো চারা রোপণের পর এখন পানির অভাবে মাটি ফেটে চৌচির হওয়ায় স্থানীয় কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। বৃষ্টির দিকে চেয়ে আছে মানুষসহ প্রাণীকুল। লাগানো জমিতে ধান বাঁচাতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষক। মাঘে মেঘে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষক সময়মতো জমিতে বোরো রোপণ করতে পারছে না। দেরি করে ছড়া, গাং, ডোবা, খাল-নালার পানি সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করে রোপণ করলেও রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়েছে বোরো ধানের চারাগুলো। ফেটে চৌচির হচ্ছে আবাদি জমি। 

উপজেলার সদর ইউনিয়ন, সিন্দুরখান, আশিদ্রোন, ভুনবীর এবং কালাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উজানের পানি না আসায় এ বছর বোরো ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে আছে। মৌসুমে উপজেলায় দুই তিন দিন কয়েক মিনিট গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলেও ভারি বৃষ্টিপাত হয়নি। এ সময় রোপণকৃত জমি বৃষ্টির পানিতে জলমগ্ন থাকার কথা থাকলেও আবাদি জমি ফেটে চৌচির হয়েছে। বৃষ্টির জন্য দিন গুনছেন তারা। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন কখন হবে বৃষ্টি। কয়েকজন আবার সেচ পদ্ধতিতে ধানের চারা রোপণ করলেও সময়মতো পর্যাপ্ত পানি দিতে পারছেন না। ফলে উৎপাদন খরচ বাড়লেও ভালো ফলনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষকরা। অনেক কৃষক জমি চাষ করে রাখলেও পানির অভাবে রোপণ করতে পারছেন না। সেচ ব্যবস্থা না থাকায় পানির অভাবে জমিগুলো পতিত রয়েছে। বোরো রোপণের জন্য তৈরি বীজতলায় ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। 

আশিদ্রোন ইউনিয়নের শংকরসেনা গ্রামের কৃষক কামালে হোসেনের সঙ্গে দেখা হয় তার ফসলের ক্ষেতে। তিনি তার ক্ষেত পানির অভাবে ফেটে যাওয়ার দৃশ্য দেখিয়ে বলেন- বড় দুশ্চিন্তায় আছি ফলন নিয়ে। সিন্দুরখান ইউনিয়ওে সাইটুলা গ্রামের কৃষক ফখর উদ্দিন বলেন, এবার ৪ একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় এবং তীব্র রোদে ফসল হুমকির মুখে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এবার বোরোধানের লক্ষমাত্রা ছিল ১১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমি। কিন্তু সেচ সুবিধানা থাকায় বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি বোরো চাষের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। কৃষি সংশ্লিষ্টরা জানান, শ্রীমঙ্গলে হাইব্রিড বারি, উফশী, ব্রি এবং বিনা ছাড়াও স্থানীয় বিরুইন, বালাম, কালিজিরা ও চিনিগুড়া জাতের ধানের চাষ হয়ে থাকে। উপজেলায় ৪২ হাজার ৫৬১ হেক্টর ফসলি জমির মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৩১ হেক্টর জমি চাষাবাদে হাওর, এলএলপি, ছড়া/বাঁধ, রাবার ড্যাম, সুইসগেট ও অগভীর নলকূপের ওপর নির্ভর করতে হয়। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রবি, খরিপ-১ ও খরিপ-২ এই ৩ মৌসুমে ১৭হাজার ৭৬০ হেক্টর জমি সাময়িক পতিত পড়ে থাকে।


জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: মাসুকুর রহমান দৈনিক খোলা কাগজকে জানান, চলতি মৌসুমে শ্রীমঙ্গলে ১১ হাজার ৮৫০ জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের জমি ফেটে যাচ্ছে। আর শুষ্ক মৌসুম থাকায় কৃষকরা কিছুটা সেচ সংকটে পড়েছিলেন কৃষকরা। এ কারণে এ বছর বোরো ধান উৎপাদনে কিছুটা তারতম্য দেখা দিতে পারে। লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শঙ্কায় থাকলে অন্যান্য বছর যেসব জমিতে বোরো চাষাবাদ হয় সেসব জমিতে চাষ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Shwapno
Link copied!