শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদ ছাড়লেন বাগেরহাট নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) মনোয়ারা বেগম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন মনোয়ারা বেগম। নতুন কাউকে দায়িত্ব দায়িত্ব এই পদে নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর কনিকা মিস্ত্রি দায়িত্ব পালন করবেন। নতুন কোথাও পদায়ন না করা পর্যন্ত মনোয়ারা বেগম এ প্রতিষ্ঠানে ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে থাকবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগমের পদত্যাগসহ নানা দাবিতে এর আগে সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা মুনিগঞ্জের নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। বাগেরহাটের সিভিল সার্জনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে দুপুর নাগাদ বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন।
তারা বলেন, ‘ইনিস্টিউটের অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা মেরে দেওয়া, হোস্টেল খাবারে অনিয়ম, প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষায় কম দেওয়ার ভয় দেখানো, ভাউচার বাণিজ্যের মাধ্যমে টাকা লুটসহ নানা অনিয়ম করে আসছেন তিনি। এতদিন আমরা ভয়ে মুখ খুলতে পারিনি। তিনি তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে কনিকা মিস্ত্রিকে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমরা খুব খুশি হয়েছি।’
মারিয়া আক্তার মিষ্টি নামের ৩য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষ মনোয়ারা বেগম পদত্যাগ করায় প্রতিষ্ঠানে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সবাই খুশি হয়েছে।’
শাকিল আহমেদ নামের আরেক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি মেনে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এখন অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) চাই আমরা। যাতে প্রতিষ্ঠান ভালভাবে চলে।’
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘নার্সিং ইনস্টিটিউট নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠান। আমরা অধিদপ্তরের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে যতদিন পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ (নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর ইনচার্জ) না আসবে, ততদিন কনিকা মিস্ত্রি দায়িত্ব পালন করবেন।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ