পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়ায় মধ্য আষাঢ়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি ঝরছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন জীবিকার তাগিদে সড়কে বের হওয়া শ্রমজীবী-কর্মজীবী এবং অফিসগামী মানুষজন।
যদিও সকাল থেকে ভাঙ্গুড়ার আবহাওয়া ছিল মেঘাচ্ছন্ন। তারপরও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের উপস্থিতি বৃষ্টির সম্ভাবনা কমিয়ে দিয়েছিল। ফলে ছাতা ছাড়াই বাইরে বেরিয়েছিলেন অধিকাংশ মানুষ।
কিন্তু দুপুর ১টায় শুরু হয় হঠাৎ বৃষ্টি। বৃষ্টির গতি অনেক বেশি থাকায় অনেকেই যানবাহন কিংবা ভ্যানে উঠতে না পেরে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তার পাশের ভবনের নিচে। কেউ আবার আশপাশের দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (২৯ জুন) ভোর থেকেই ভাঙ্গুড়ার আকাশ ছিল মেঘলা। ভোরের দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এরপর সকাল ১টার দিকে আবারও বৃষ্টি ঝড়তে শুরু করে।
কালু মিয়া নামে এক অটোভ্যানচালক বলেন, এখন বর্ষাকাল হিসেবে বৃষ্টি তো একটু হবেই। তবে আজকে বৃষ্টি হবে এমনটা মনে হয়নি। সেজন্য পলিথিন নিয়েও বের হইনি। এই বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে। এজন্য এখানে দাঁড়িয়ে আছি। বৃষ্টি থামলে পরে আবার ভ্যান নিয়ে বের হবো।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক বলেন, রোববার (৩০ জুন) থেকে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত পাবনায় টানা অতি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের তীব্রতা একই রকম থাকবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ