বরিশাল নয়- একসময় বাকেরগঞ্জই ছিল জেলাশহর
স্বাধীন বাংলার নবাব আলীবর্দী খান এর আমলে বুজুর্গ উমেদপুরে আগা বাকের খান নামে এক প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন। ঢাকার জমিদার আগা বাকের খান এ অঞ্চলে ১৭৪১ খ্রিস্টাব্দে নিজ নামে একটি গঞ্জ বা হাট প্রতিষ্ঠা করেন। তার নাম অনুসারে বাকেরগঞ্জের নামকরণ করা হয় ‘বাকেরগঞ্জ’ বা বাখেরগঞ্জ। ব্রিটিশ সরকার সেসময় বাকেরগঞ্জ জেলা নামে একটি জেলা প্রতিষ্ঠা করে।
ছোট এই শহরটি শ্রীমন্ত নদীর তীরে অবস্থিত। সেই জেলা পরবর্তীতে বরিশাল নিয়ে যাওয়া হয়। আগা বাকের খান এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করেন। এখানে ধীরে ধীরে ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার লাভ করতে থাকে।
চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী লোকের বসবাস বৃদ্ধি পেয়ে বাকেরগঞ্জ শহরে পরিণত হয়। পরবর্তীতে ১৭৯৭ সালে এই নামে ব্রিটিশ সরকার এতদাঞ্চলে একটি জেলা গঠন করেন এবং বাকেরগঞ্জ বন্দরটি জেলার সদর দপ্তরে বা জেলা শহরে পরিণত হয়।
১৮০১ সালে বাকেরগঞ্জের সাথে যোগাযোগের নদী নাব্যতা হারালে বরিশাল (বা গিরদে বন্দর) শহরে বাকেরগঞ্জ জেলার সদরদপ্তর স্থাপিত হয়। সদর দপ্তর বরিশাল হলেও জেলার নাম বাকেরগঞ্জই থেকে যায়। বাখরগঞ্জ গেজেটিয়ার ১৯৮৪ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাখরগঞ্জ সদর মহকুমায় যে ৫টি থানার নাম পাওয়া যায় তার একটি বাখরগঞ্জ বা বাকেরগঞ্জ।
১৮৭৪ সালে বাকেরগঞ্জ থানা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮২ সালে মান উন্নীত থানা হিসেবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। বাকেরগঞ্জ জেলা নামটি ১৭৯৭ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ছিল। ১৯৯৩ সালে বরিশাল বিভাগ সৃষ্টির ফলে বাকেরগঞ্জ নামটি জেলা থেকে বাদ দেয়া হয়। জেলা সদর বরিশালের নামে বিভাগের নামকরণ করা হয়।
একুশে সংবাদ/উকি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :