AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পেকুয়ায় বনবিভাগের সাঁড়াশি অভিযানে বালু জব্দ


Ekushey Sangbad
পেকুয়া প্রতিনিধি, কক্সবাজার
০২:৪০ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২৪
পেকুয়ায় বনবিভাগের সাঁড়াশি অভিযানে বালু জব্দ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ের গহীন অরণ্যে এ বনবিভাগের জব্দকৃত বালি রেঞ্জ কর্মকর্তা বিক্রি ও বালির তিন স্তুপ ঘিরে শুরু হয়েছে যত রহস্য। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দুই মাস আগে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বালির দুইটি স্তুপ বিক্রি করার অভিযোগ তুলেন ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। বালুর স্তুপের পাশে গিয়ে দেখা যায় তারই ভিন্ন চিত্র। এ যেন চিলে কান নেওয়ার গল্পকে হার মানায়।

সরেজমিনে গিয়ে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, পেকুয়ার মধুখালীর উপরে টৈটং বনবিটের (চকরিয়া হারবাং রিজার্ভ মৌজা) আরাতুল্লার মুখ, ও নশসাফুল্লা,নামক সংরক্ষিত বনের গহিন অরন্য থেকে গত বছরের ২৫ মে ৩টি বালির স্তুপ থেকে মোট ৪ লাখ ৬হাজার ২শত ঘনফুট বালি জব্দ করে চট্রগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জ । ২০২৩ সালে ইউ ডি ও আর (১৭নং টইটং) মামলা দায়ের করেন টৈইটং বিট কর্মকর্তা জমির উদ্দীন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টৈটং বিটের রিজার্ভ হারবাং এ অবস্থিত বালিরস্তুপ নিলামে তুলতে পরির্দশনে যান পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। ইউএনও নিলামে তুলতে চাইলেও, পরিবেশের ও জীববৈচিত্রের ক্ষতির  আশাঙ্কায় নিলামে দিতে রাজি হয়নি বনবিভাগ। ফলে দ্বন্দ্ব দেখা দেয় বনবিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের  মধ্যে। ইউএনও বালু নিলামে তুলতে জোর তদবির তুলে। আদালতের দ্বারস্থ হয়ে উত্তোলিত স্থানে প্রকৃতির সাথে বালু মিশিয়ে দেয়ার অনুমতি চান বন বিভাগ। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পেকুয়ার ইউএনওকে বন  মামলা পরিচালনা কারির সামনে পরিমাপ করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বন্ধ হয়ে যায় নিলামের প্রক্রিয়া। অন্যদিকে শুরু হয় কাদা ছোড়াছুড়ি। এ দিকে ৫/৬বছর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায়  বারবাকিয়া বিটের সংগ্রামের জুম এলাকায় রয়েছে তিনটি বালির স্তুপ। ওই বালির চারপাশে রয়েছে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের সামাজিক বনায়নের চারা গাছ। বালুর উপর উঠছে ঘাস। ওই বালি বের করার মত নেই কোন রাস্তা। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের একাধিক গণমাধ্যমে খবর ছাপাই ওখান থেকে ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে দুইটি বালির স্তুপ শাকের ও আব্দুল জলিলকে বিক্রি করে দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক।

সংগ্রামের জুম এলাকার কৃষক ও ওই এলাকার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান তারা ওইখানে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। যখন থেকে বালুগুলো তুলছিল তখন থেকে কেউ কোনভাবে বালু বিক্রি করতে পারেনি। এখানে আসতে নেই কোন রাস্তা গাড়ী চলাচলের কোন পথ নেই। 

ওই মঞ্জুর আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন অনেক বছর আগে থেকে এখানে বসবাস করছি আমরা। এ পর্যন্ত কে কোন দিন এক মুঠু বালি নিয়ে যায় নাই। 

এ বিষয়ে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন গাছ পাচার, পাহাড় কাটা, বালু পাচার বন্ধ করায় পাহাড় খেকোরা এসব করছে। আমার অভিযান অব্যাহত থাকবে।  

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বনাঞ্চলের কোনো সম্পদ কেউ বিক্রি করার অধিকার নেই। বালু বিক্রি করছে না বিক্রি নাই তা আমরা তদন্ত করবো। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!