গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইনে জুয়ায় ক্যামেরা বন্ধক রাখাকে কেন্দ্র করে বন্ধুকে হত্যা করে সেফটি ট্যাংকির মাঝে রাখার ঘটনা ঘটেছে । শরিবার ভোরে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিমবাটি গ্রামের পুলিশ সদস্য মতিয়ার রহনের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশটি উদ্ধার করে সাঘাটা থানা পুলিশ
বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিসদের সদস্য একরামুল হক জানান, সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে রিফাতের সাথে একই উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে সম্রাটের সাথে একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে বন্ধুত্ব হয়। দুজনেই এক আপরের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরাসহ তারা একে অপরের বাড়ীতে যাতায়াত করতো। তারা দুজন কিশোর অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত হয়।
এক পর্যয়ে রিফাত জুয়ার টাকা জোগার করতে বন্ধু সম্রাটের কাছে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা বন্ধক রাখে। কিছু দিন পরে রিফাতের কাছে সম্রাট ক্যামেরার টাকা চাইলে রিফাত দিতে না পাড়ায় সম্রাট ক্যামেরাটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।
গত ১৭এপ্রিল রিফাত টাকা জোড়ার করে ক্যামেরটি নিতে চাইলে সম্রাট বিক্রি করেছে বলে জানায়। পরে রিফাত কৌশলে সসম্রাটকে বাড়ীতে আনে এবং হত্যা করে তার বাড়ীর পাশের একটি সেফটি ট্যাংকে রেখে দেয়।
সম্রাটের নিখোঁজের ঘটনায় তার পরিকার রিফাতকে সন্দেহ করে শুক্রবার ১৮ এপ্রিল থানায় সাধারন ডায়েরী করে। পুলিশ শুক্রবার রিফাতসহ আরো এক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসা বাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লাশটি রাখার বিষয়টি জানিয়ে দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :