AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

টেকনাফে ৬ জনকে অপহরণ, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,কক্সবাজার
০৯:৪০ পিএম, ২৭ মার্চ, ২০২৪
টেকনাফে ৬ জনকে অপহরণ, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে আরো ছয়জনকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। কে বা কারা অপহরণ করেছে, সে সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংস্থ ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ি এলাকা থেকে এ ৬ জনকে অপহরণ করা হয়। যাদের পরিবারকে ফোন করে ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়েছে।

হোয়াইক্যং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজালাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অপহৃতরা হলেন- হোয়াইক্যং এর করাচি পাড়া এলাকার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে জুনাইদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে সাাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে ফরিদ (৩৫), নাজির হোছনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪), শহর মুল্লুকের ছেলে গুরা পুইত্যা (৩২)।

ইউপি সদস্য শাহজালাল জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়ানো ও চাষের কাজ করতে গিয়ে ৬ জন নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে অপহরণকারী চক্র অজ্ঞাত স্থান থেকে ০১৮... নাম্বার থেকে এক জনের বাবার নাম্বারে ফোন করে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহৃতদের মারধর করা হচ্ছে করে চিৎকার শোনানো হচ্ছে। এ বিষয়টি পুলিশকে জানালে অপহৃতদের মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়েছে।

শাকিল মিয়ার বাবা লেদু মিয়া জানিয়েছেন, সকালে গরু চড়াতে গেলে বিকেল পর্যন্ত ফেরত না আসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন। এর মধ্যে একটি নাম্বার থেকে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবিও করা হয়েছে। এখন আতঙ্কে রয়েছেন।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, এই ৬ জনের বিষয়টি নানা মাধ্যমে জানানোর পর ঘটনাস্থল ও স্বজনদের পরিবারে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এদের সঙ্গে আলাপ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) টেকনাফের হোয়াইক্যং কম্বনিয়া পাহাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন দুই কৃষক।

এরা হলেন: টেকনাফের হোয়াইক্যং রোজার ঘোনা এলাকার আমির হোসেনের ছেলে অলি আহমদ (৩২) এবং কম্বনিয়া এলাকার ফিরুজের ছেলে নূর মোহাম্মদ (১৭)।

টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকা থেকে এই দুজনকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’

হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, অপহৃত ২ জনের পরিবারের কাছে বুধবার সকালে ফোনে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু কত টাকা চাওয়া হয়েছে অপহৃতদের স্বজনরা কিছুই বলছেন না। ধারণা করা হচ্ছে, হুমকির কারণে পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিদের না জানিয়ে গোপনে টাকা দিয়ে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা করছেন স্বজনরা।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ‘ আবারও ২ জন অপহরণের বিষয়টি শোনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বিকেলের দিকের পাহাড়ে গরু আনতে গিয়ে ২ জনকে জিন্মি করা হয়েছে। কিন্তু বুধবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত অপহৃতদের পরিবারের সদস্যরা কোন তথ্য দিচ্ছে না। এমন কি একাধিকবার চেষ্টার পরও লিখিত অভিযোগ দিচ্ছি না। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। তবে স্বজনরা তথ্য না দেয়ায় পুলিশ তার কাজে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন।

গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০৯ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহৃতদের পরিবারের দেয়া তথ্য বলছে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। এর মধ্যে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যদিও পুলিশ অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৫ জনই রোহিঙ্গা।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!