ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মেধাবী এক শিক্ষার্থী নিখোঁজের দেড় বছরেও খোঁজ মিলাতে পারলো না পুলিশ। এমন অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা শেখ আসলাম। ছেলে শেখ রাসেলের শোকে মা আয়েশা বেগম পাগল প্রায়। দেড়টি বছর রাস্তায় রাস্তায় ছেলেকে খোঁজ করে আর কান্না করে করে চোখে ঘা বানিয়েছেন মা আয়েশা বেগম।
মা আয়েশা বেগম বুক চাপড়িয়ে বলেন, আমার বুকের ধন, আমার বড় সন্তান, শেখ রাসেল (২৪) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষের পথে ছিল তখন। প্রতি মাসে তার বাবা শেখ আসলাম ভ্যান চালিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ছেলের পড়াশোনার পিছনে গুনতে হতো। একপর্যায়ে ওর বাপ হাফষিয়ে পড়েন ছেলের পড়াশুনার টাকা জোগাতে। তখন এক পর্যায়ে বলতে বাধ্য হলো আর পারছি তোমাকে পড়ালেখার খরচ যোগাতে। পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটা কাজ করো। একথা শুনেই ছেলে রাসেল তেলে বেগুনে রেগে, ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। সেই যে বের হলো আর ফিরে এলো না এ পর্যন্ত।
ওই সময় রাসেলের মোবাইল নম্বর ও আইডি কার্ড দিয়ে সাধারণ ডায়েরি করলাম ভাংগা থানায়। আজ পর্যন্ত কোন হদিস দিতে পারলো না পুলিশ। এমন ভাবেই আকুতি করলেন আমার ছেলে আমার বুকে আয় আমি তোকে রক্ত বিক্রি করে হলেও পড়াবো। আর কোনদিন রাগ করবো না।
এভাবেই সার্বক্ষণিক মা আয়েশা বেগম বাবা আসলাম শেখ রাস্তায় রাস্তায় ছেলের খোঁজ করতে থাকেন।
এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাংগা থানার পুলিশ অফিসার (উপ-পরিদর্শক) এসআই তাহাসিনুর রহমান বলেন, শেখ রাসেল সে একা একা বাড়ি থেকে রাগ করে চলে গেছে। তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নম্বর এপর্যন্ত ব্যবহৃত হয় নাই বিধায় তার খোঁজ মেলে নাই। যার কারণে আর দেখা হয় নাই। তবে আইডি কার্ডটি আমাকে দিন, আবারো আইডি কার্ড দিয়ে কোন সিম কার্ড উত্তোলন করলো কিনা খতিয়ে দেখব।
একুশে সংবাদ/সা.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :