নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ায় হামলায় আহত হয়েছেন ১০ জন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে চাঁনপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- মাঝেরচর গ্রামের তঞ্জা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর খন্দকার (৩৫), আব্দুর জব্বার মিয়ার ছেলে ফায়েজ মিয়া(৪২), শাহ আলম মিয়ার ছেলে কেফায়েত উল্লাহ(২৮), সুলমান মিয়ার ছেলে জাহিদুল(১৮), সুন্দর আলীর ছেলে সুমন মিয়া(২২), এবং রাজ মিয়ার ছেলে বশিরুল, নাগর মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান। এছাড়া শাহিন মাঝি(২৫), ইসমাইল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মিন্টু মিয়া নামের ঠিকাদার নরসিংদী এলাকার কাৎলারচরে কাটিং ড্রেজার দ্বারা বালু উত্তোলনের ইজারা পান। কিন্তু তিনি কিছু সংখ্যক প্রভাবশালী লোকদের সহযোগীতায় কাৎলারচরের পরিবর্তে মাঝেরচরে চম্বুক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় সাহেরচর, মাঝেরচরসহ আশেপাশের এলাকায় নদী ভাঙ্গন সৃষ্টি হবে। তাই এলাকাবাসী এখান থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মারধোরসহ নৌকা ভাংচুর করে ছিনিয়ে নেয় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা।
স্থানীয় চাঁনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার জানান, ইজারা দেয়া পাড়াতুলির কাৎলারচর কিন্তু বালু উত্তোলন করে নির্বিঁচারে চাঁনপুরের মাঝেরচর, সাহারখোলা এলাকা থেকে।
বালু ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত আবুল মেম্বার বলেন, বালু কাটে রাসেল চেয়ারম্যান (শ্রীনগর ইউপি), ফারুক চেয়ারম্যান (রায়পুরা ইউপি), মিন্টু মিয়া ও মনির মিয়া। বার বার আমাকেই দোষারোপ করা হয় আমাকে।
এলাকাবাসীর ওপর হামলা ও অবৈধ বালু উত্তোলনের ঘটনায় রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপি বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষে আমার সবরকম সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি প্রশাসনকে সকল ঘটনা অবহিত করতে বলেন।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :