রাজবাড়ীতে প্রকৃত মালিক না পাওয়ায় চোরাই সন্দেহে উদ্ধারকৃত ৩টি গরু প্রকাশ্য নিলামে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে প্রকাশ্যে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর রাজবাড়ী থানা পুলিশ সদর থানাধীন চন্দনী ইউনিয়নের ডাউকী এলাকার বাদশা ফকিরের দোকানের সামনে থেকে মো. ইছাহাক শেখ ও আলামিন শেখ এর দখল থেকে চোরাই সন্দেহে ১টি কালো রংয়ের গাভী, ১টি লাল রংয়ের গাভী ও ১ টি কালো রংয়ের হাড় বাছুর উদ্ধার করে। উদ্ধার কালে গরুগুলোর মালিকানা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র দাখিল কিংবা সন্তোষজনক কোন ব্যাখ্যা করতে না পারায় এস আই কামরুল আহম্মেদ বাদী হয়ে রাজবাড়ী থানায় দন্ডবিধির ৪১১ ধারায় একটি মামলা (থানার মামলা-২৬,তারিখ-১৭/১০/২৩ জিআর-৫২১/২৩) দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজবাড়ী থানার এসআই মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, উল্লেখিত মামলার গরু ৩ টির প্রকৃত মালিকের সন্ধানে বিভিন্ন থানায় বেতার বার্তা (রাজবাড়ী থানার বেতার বার্তা নং-১২৪,তারিখ-১৯/১০/২৩) প্রেরণ সহ স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া রাজবাড়ী থানাধীন প্রতিটি এলাকায় গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জব্দকৃত গরু ৩ টির প্রকৃত মালিকের সন্ধানে ব্যাপক প্রচারণা চালান হয়। এরপরও গরু ৩ টির প্রকৃত কোন মালিক খুঁজে না পাওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে গরু ৩ টি নিলামে বিক্রির আবেদন জানান।
তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন হোসেন জব্দকৃত গরু ৩ টি দীর্ঘদিন থানায় খোলা জায়গায় লালন পালন করা কষ্টসাধ্য এবং যে কোন সময় রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় উক্ত গরু ৩ টি নিলামে বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ সরকারী কোষাগারে জমাদানের আদেশ প্রদান করেন।
আদালত একই আদেশে রাজবাড়ী থানা হেফাজতে রক্ষিত গরু ৩ টি সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক বর্তমান বাজারমূল্য যাচাই করে পরবর্তী ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সম্ভাব্য বাজার মূল্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালককে নির্দেশ দেন।
একুশে সংবাদ/জ.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :