AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গুরুদাসপুরে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি


Ekushey Sangbad
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি, নাটোর
০৮:২৬ পিএম, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩
গুরুদাসপুরে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি

নাটোরের গুরুদাসপুরে দুই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরশহরের চাঁচকৈড় নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনের গলির ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

এঘটনার পর ওই পুলিশ সদস্যকে আটকে উত্তম মাধ্যম দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের নাম কামরুল হাসান (কং নম্বর-৬৩৯)। ঘটনার সময় সিভিল পোশাকে ছিলেন। অবিবাহিত এই পুলিশ সদস্য  ৮/৯ মাস আগে থানায় যোগদান করেছেন। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ছাত্রীর অভিভাবকরা চাইলে মামলাও করতে পারেন।

স্থানীয়  সূত্রে জানা গেছে, উত্ত্যক্তের শিকার দুই ছাত্রী  চাঁচকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনির ছাত্রী। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য  স্কুলে যাচ্ছিল তারা। স্কুলের পেছনের গলির ভেতর যাওয়া মাত্রই দুই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ওই পুলিশ সদস্য। এক পর্যায়ে হাত ফসকে দৌড়ে পালায় বাঁচে দুই ছাত্রী। পরে বিষয়টি তারা শিক্ষকদের জানায়।

চাঁচকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা পারভিন জানান, ছাত্রীর অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে  প্রথমে ওই পুলিশ সদস্যকে পাওয়া যায়নি। পরে স্থানীয় একটি ধানসেদ্ধ করা চাতালের শ্রমিক জানান একটি ঘরের ভেতর লুকিয়ে রয়েছেন এক লোক। ঘরের থের গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা পুলিশ সদস্যকে সনাক্ত করলে সে দৌড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন।

পরে বিদ্যালয়ের সামনের প্রধান সড়কে স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে উত্তম মাধ্যমদেন। পুলিশ সদস্য পরিচয় দেওয়ার পর জনরোষ থেকে রক্ষা পান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বিদ্যালয়ে  আনা হয়। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে ওসি মোনোয়ারুজ্জামান গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনেন।

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ওসি জানান, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগটি সত্য নয়, পুলিশ সদস্য কামরুল হাসান বিভিন্ন সময়ে নাজিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে দায়িত্ব পালন করতেন, এসুবাদে নবম শ্রেনির এক ছাত্রীর সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে। রোববার সিভিল  পোষাকে ওই ছাত্রীর সাথে সেখানে দেখা করতে গিয়েছিলেন। এসময় দুই ছাত্রী তাঁদের দেখে ফেলায়, বিষয়টি শিক্ষকদের বলে দেওয়ার কথা বলায় দুই ছাত্রীর মূখ আটকে ধরেছিলেন। ঘটনা যাই ঘটুক অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি মোনোয়ারুজ্জামান।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর বাবা শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা করবেন তাঁরা।


একুশে সংবাদ/জ.প.প্র/জাহা

Link copied!