আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন রোববার (২৬ নভেম্বর) এই তালিকায় ফরিদপুর -৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
এই খবরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ও প্রতিটি ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বলে জানান আওয়ামী লীগের ভাঙ্গা উপজেলার ১ নং যুগ্ম সম্পাদক শরিফুজ্জামান ভিপি শরীফ।
তিনি আরো জানান, ফরিদপুর-৪ আসনে বিগত ১০ বছর যাবত নৌকার লোকজন অবহেলিত ছিল। আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন স্বতন্ত্র এমপি ছিলেন দুইবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রের পরিচয় দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এলাকার জনগণ তার ধাপ্পাবাজি আর চাপাবাজি বুঝতে পেরেছেন। এবার তৃণমূল আওয়ামী লীগ অঙ্গসংগঠন এরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে তারা দলে দলে কাজী জাফর উল্লার কাছে ফুল দিয়ে হাত মিলাচ্ছেন। এবার আমরা ১০০% আশাবাদী নৌকার বিজয় হবে।
তিনি বলেন নৌকার পাওয়ার খবরে ভাঙ্গা উপজেলার স্বতন্ত্র শিবির থেকে একাধিক নেতা ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। আরো বহু থেকে নৌকা প্রেমী ত্যাগী নেতারা দলে দলে মিশতে যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন। কয়েক নেতা তারা কাজী জাফরউল্লাহর হাতে হাত মিলিয়েছেন। এরা হচ্ছেন, সাবেক জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ শাহিন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ফকির, হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন, মানিকদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত। এতে বিভিন্ন আসনে নতুন মুখ যেমন এসেছেন, তেমনি বাদও পড়েছেন পুরোনো বিতর্কিতরা। তবে জনগণের ভোটে বিজয়ী হতে পারবেন এমন প্রার্থীদের কাউকেই বাদ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে দলের বিভিন্ন সূত্র।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ১৮ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয় ৩ হাজার ৩৬২টি। এতে দলটির আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা, মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশের সময় জানাল আ.লীগ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে।
ভোট গ্রহণ করা হবে ৭ জানুয়ারি। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/সা.শ.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

