ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগের সভাপতি ইটভাটার মালিক মামুন শিকদারকে(৩৫) হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার চার হাত-পা`ই ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দিলো প্রতিপক্ষ ফারুক গংরা। বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ এই নেতাকে একা পেয়ে ধান খেতে ধরে নিয়ে সিনেমার স্টাইলে একাণ্ড ঘটায়। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে যুবলীগ নেতার ভাই সুমন শিকদার বাদী হয়ে ভাংগা থানায় মামলা করেছে।
যুবলীগ নেতা নাম মামুন শিকদার সে ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত্যু মুজিবর শিকদারের ছেলে।
মামলা ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, এই এলাকায় দুটি গ্রুপ রয়েছে একটি নেতৃত্ব দেন এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর ও তার ভাই সুমন। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন ফারুক তালুকদার ও এই যুবলীগ নেতা মামুন।
তখন মামুনের দলের এক থেকে দুই মাস আগে ইমরান তালুকদার নামের একজনকে সিনেমার স্টাইলে পায়ের রগ কেটে দেন, মোখলেসুর রহমান সুমন গ্রুপ। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এরপর থেকে মাইরের প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করতে থাকে ফারুক তালুকদাররা।
এর`ই মধ্যে মামুন শত্রুপক্ষ সুমনের সঙ্গে মিশে যায়।সেই আক্রোশে মামুনের সাবেক দলের লোকজনরা মামুনকেই মাইর দিয়ে প্রতিশোধ নেন। তবে এবার মামুন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে পঙ্গু হাসপাতালের আইসিইউতে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই সুমন শিকদার জানান,
মামুন তার পুলিয়া নয়াকান্দার ইটের ভাটায় যাচ্ছিলেন গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে। তখন ফারুক তালুকদার, বেলায়েত শিকদার ও কালা হাওলাদার এরা ১০ থেকে১২ জন মামুনকে হত্যার পরিকল্পনায় ওঁত পেতে থাকে। রাস্তায় একা পেয়ে মামুনকে মোটরসাইকেল থেকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ধান ক্ষেতে নিয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু ভেবে ফেলে রেখে যায়। মামুনের চার হাত-পা কুপিয়ে হাড় পর্যন্ত কেটে ফেলেছে। চার হাত পায়ে তিন চার স্থানে করে কুপিয়েছে। জাহেলিয়াতের যুগেও এমন করে নাই।
মৃত্যু মনে করে স্থানীয়রা মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করেন। সে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ঘটনায় আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাজাহান হাওলাদার বলেন, ওই এলাকায় মূলত তালুকদারদের জায়গা জমি ভয়ভীতি দেখিয়ে একরকম জোরপূর্বক জায়গা জমি নিতে চায় সাবেক চেয়ারম্যান মোতালেব ও মোখলেসুর রহমান সুমন এরা দুই ভাই। জমি না দিলেই মারামারি ও ভয় দেখিয়ে জমি নেওয়ার চেষ্টা করে। কয়েকদিন আগেও একজনকে পায়ের রগ কেটে দেয় সুমনরা, এবার তার প্রতিশোধ দিল ওই দল। এভাবেই এক পক্ষ মাইর খেলে প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত অন্যপক্ষ সুস্থ থাকেনা। যে, কোনো সময় আরো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিষয়টি প্রশাসনের কঠিন হস্তে নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করি।
এদিকে এ ঘটনায় ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়ারুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মামুনকে মেরে গুরুতর আহত করেছে । ঘটনাস্থল থেকে দুটি হাতুড়ি ও বেশ কিছু লাঠিসুটা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান এলাকার শান্ত রয়েছে। এর আগেও আর একজনকে রগ কাটার ঘটনা ঘটেছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :