AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমতলীতে ঝুকি নিয়ে সেতুতে চলাচল


Ekushey Sangbad
আবু সাইদ খোকন, আমতলী, বরগুনা
০৩:০২ পিএম, ৪ অক্টোবর, ২০২৩
আমতলীতে ঝুকি নিয়ে সেতুতে চলাচল

বরগুনার আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া খালের সেতুটির ঢালাই ধসে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে ১১ গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। যে কোন সময় সেতুটি ধ্বসে ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

 

উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ২২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া খালেল উপর ৪০ মিটার দ্যৈর্ঘের এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর সেতুটি আর কোন সংস্কার না করায় ধীরে ধীরে এর রেলিং এবং পাটাতনের ঢালাই ধসে পড়তে শুরু করে। সেতুর রেলিং না থাকায় ৮/১০টি আটো রিকসা গাড়ী ইতোমধ্যে সেতু থেকে ছিটকে খালে পড়ে ২০-২৫ জন যাত্রীসহ চালক আহত হয়েছে।

 

সেতুর পাটাতনের ঢালাই ধসে পড়ে কয়েক জায়গার লোহার রড বেড়িয়ে পড়েছে। ধ্বসে যাওয়া অংশে স্থানীয়রা নিজেদের টাকায় কয়েকবার ঢালাই দিলেও তা আবার ধসে পড়ে। বর্তমানে সেতুর দুই মাথা এবং মাঝ অংশের পাটাতনের ঢালাই ধসে পড়ায় ভারী যানবাহনসহ রিকসা অটোসহ ভাড়ায় চালিত মটর সাইকেল উঠতে ভয় পায়।

 

অন্যদিকে পিলারেরও একই অবস্থা। অনেক পিলারের ঢলাই ধসে লোহার রড বেড়িয়ে পড়ায় সেতুর উপর লোকজন কিংবা যানবাহন উঠলে কাঁপতে থাকে। যে কারণে এখন এই সেতুর উপর কোন যানবাহন উঠতে চায় না।

 

সেতুটি এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে আমতলী থেকে আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে যেতে হলে এই সেতু পার হয়ে যেতে হয়। এই সেতু পার হয়ে পাতাকাটা, উত্তর পাতাকাটা, তারিকাটা, মধ্যতারিকাটা, উত্তর তারিকাটা ও আরপাঙ্গাশিয়া বাজারের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে যাতায়ত করে। আবার এই সেতুর পশ্চিম দিকে বালিয়াতলী, ঘোপখালী, সোমবাড়িয়া বাজার ও যুগিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যুগিয়া খালের সেতু পার হয়ে আমতলী উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়ত করে। এই গুরুত্ব পূর্ন সেতুটি এইতটাই নরবরে অবস্থায় রয়েছে যে কোন সময় ধসে ১১ গ্রামের মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে পরিষদে আসা যাওয়াসহ সকল ধরনের চলাচল বন্ধ হওয়ার আশঙ্ক করছেন গ্রামবাসী।

 

ঘোপখালী গ্রামের ভাড়ায় মটর সাইকেল চালক মো. মাসুম জানান, যাত্রী নিয়ে সেতুর উপর উঠলে সেতটিু কাপতে থাকে।

 

আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের অটো চালক মিরাজ মিয়া জানান, সেতুতে রেলিং না থাকায় অনেক অটো গাড়ী রিক্স্রা পানিতে পরে যাত্রীসহ অনেক চালক আহত হয়েছে।

 

যুগিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ কুদ্দুস মিয়া বলেন বাবা এই সেতুটি পার অইতে ভয় লাগে। উপরে ওডলে খালি কাপতে থাহে। কোন সময় যানি পানিতে পইর‌্যা ডুইব্যা যাই।

 

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, যুগিয়া খালের সেতুটি প্রায় ২৩ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতুর পশ্চিপাড়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ রয়েছে ৪টি গ্রাম। পূর্ব পাড়ে রয়েছে ৭টি গ্রাম।

 

মাঝখানে যুগিয়া খালের উপর এই সেতুর অবস্থান। সেতুটি নির্মানের পর কোন ধরনের সংস্কার না করায় এটি এখন নরবড়ে হয়ে পড়েছে। পাটাতনের ঢালাই অনেক জায়গা দিয়ে ধসে পড়েছে। পিলার নরবড়ে হয়ে যাওয়ায় এখন যে কোন সময় ধসে

পড়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে এবং আমতলী উপজেলা শহরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই সেতুটি দ্রুত নির্মানের দাবী জানাই।

 

আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গার্ডার ব্রিজ নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/সা.খ.প্র/জাহা

 

Link copied!