গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যেই করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া ও তার শাখা নদী বাঙালির দু`কুল ছাপিয়ে পানি বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ছে। নদী তীরবর্তী আমন ধানেরক্ষেত, আখ ও মরিচ, সবজি সহ বিভিন্ন ফসলের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।
ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে। জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৬০০ মিটার এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে বাঁধভেঙ্গে বিস্তীর্ণ ফসলি ও জমি-বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ।
তাদের দাবি অবিলম্বে ভাঙ্গন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে বহু মানুষকে সর্বস্বান্ত হতে হবে। তারা অভিযোগ করেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির উন্নয়ন বোর্ডের কোন কার্যক্রম না থাকায় দীর্ঘদিন যাবত বাঁধটি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে। বন্যার সময় আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে কিছু বালু ভর্তি বস্তা ফেলা হলেও স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিবছর স্থানীয় মানুষ সহায় সম্পদ হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রুবেল সরদার একুশে সংবাদকে জানান, ঘটনা স্থল পরদর্শন করে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধে কর্তৃপক্ষ সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক হাফিজ ভাঙ্গনের শিকার বাধটি পরিদর্শন করে ছেন এবং তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাতি পরিদর্শন করে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন। যেকোনো মূল্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাড়তি রক্ষা করা হবে বলে তিনি আরও জানান।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :