ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাথরাইল গ্রামের আঞ্চলিক রাস্তায় (স্বামীর বাড়ির পাশে) স্ত্রীর মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেলেন স্বামী।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ওই গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন।
নিহতের নাম রোমা বেগম (৩০)। সে ভাঙ্গা উপজেলার পাথরাইল গ্রামের টোটন মাতুব্বরের স্ত্রী এবং মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার উত্তর চানপুট্টি গ্রামের কুদ্দুস মাতুব্বরের মেয়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টোটন মাতব্বর ঢাকায় ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। ঢাকা থেকে রোমার মরদেহ গ্রামে এনে রাস্তায় ফেলে স্বামী পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ রোমা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে তদন্তকারী অফিসার অমিয় মজুমদার বলেন, রোমা বেগমের মরদেহ রাস্তায় পেয়েছি। প্রাথমিক ধারণা মতে গলায় দাগ চিহ্ন ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। রোমা বেগমের স্বামী টোটন মাতুব্বর ঢাকার উত্তর বাড্ডায় ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। সে ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকায় থাকতেন।
তিনি আরো জানান, এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবার থানায় এসে পৌছায়নি। বিস্তারিত তারা না আসা পর্যন্ত বলতে পারছি না।
এদিকে রুমা বেগমের মামা বাবুল মিয়া জানান, আমার ভাগ্নি রোমা বেগমের তিনটি সন্তান রয়েছে। ওরা উত্তর বাড্ডায় এলাকায় স্বামীর সঙ্গেই থাকতেন। ওর স্বামী টোটন দুই বিয়া করেছে। বিয়ের পর থেকে আমার ভাগ্নিকে মারধর করত চলে যাওয়ার জন্য এবং টাকা দাবি করত, টাকা না পেলেই মাইধর শুরু করত। আমার ভাগ্নি রোমাকে ওর স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা টোটনের ফাঁসির দাবি জানাই।
একুশে সংবাদ/সা.শ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :