AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গোদাগাড়ীতে স্কুলে অবৈধভাবে কর্মচারী নিয়োগ বন্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ


Ekushey Sangbad
আব্দুল বাতেন, রাজশাহী
০৪:২৩ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৩
গোদাগাড়ীতে স্কুলে অবৈধভাবে কর্মচারী নিয়োগ বন্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে অবৈধভাবে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া ও যোগদান পত্র প্রদান বন্ধ রাখতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) ওই স্কুলের বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ পত্র দেন।

 

বহিষ্কার হওয়া প্রধান শিক্ষক মাসদার হোসেন লিখিত অভিযোগ পত্রে বলেন, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি চক্রান্ত করে জোর পূর্বক অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অপবাদ দিয়ে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করেন। কিন্তু সরকারি ভাবে তিনি এখনও পদাধিকার বলে ওই ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ১৪ এপ্রিল বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উপর আদালতে মামলা করেন। মামলা থাকা সত্ত্বেও কমিটি অর্থের লোভে মরিয়া হয়ে তিনিটি পদে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করে অবৈধভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।  অভিযোগে আরো বলা হয়, প্রধান শিক্ষক ঐ কমিটির একজন সদস্য। তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে সমস্ত নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। সেই প্রক্রিয়া বৈধ নয় বলে নিয়োগকৃত প্রার্থীদের যোগদান করাতে পারেনি।

 

এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস বলেন, অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন বলেন, অভিযোগটি পেয়েছি। মামলাটি কি ধরনের তা জানতে হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।

 

উল্লেখ যে, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়াপদে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। নিয়োগ পরীক্ষা কমিটির সদস্য  শিক্ষক প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়মবর্হিরভূত ভাবে জোর করে তিন কর্মচারীকে যোগদান করার অভিযোগ উঠে। ভারপ্রান্ত প্রধান শিক্ষক তাতে রাজি না হলে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সভাপত মতিউর রহমান প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এর পর থেকেই সেই স্কুলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে স্কুলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় ২৪ জুলাই স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ধরলে তোপের মুখে পড়ে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ব.প্র/জাহা

Link copied!