AB Bank
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভাঙ্গুড়ায় নতুন ছাতা বিক্রির ধুম; নষ্ট ছাতা মেরামতে ব্যস্ত কারিগররা


ভাঙ্গুড়ায় নতুন ছাতা বিক্রির ধুম; নষ্ট ছাতা মেরামতে ব্যস্ত কারিগররা

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ছাতা বিক্রেতা ও কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ঋতু পরিক্রমায় এখন চলছে শ্রাবণ মাস। অবিরাম বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনার ফলে নতুন ছাতার কদরসহ পুরাতন ছাতা মেরামত কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে বহুগুণ।

 

শনিবার উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, চাহিদা বেশি থাকায় দোকানের এক পাশে ছাতার জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছে। একজন বিক্রয়কর্মী সার্বক্ষণিক সেখানে দাঁড়িয়ে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী ছাতা বের করে দিচ্ছেন। কেউ কেউ পুরোনো ছাতা মাথায় দিয়ে নতুন ছাতা কিনতে আসছেন।

 

রোদ-বৃষ্টির খেলায় বাজারে বেড়েছে ছাতার বিকিকিনি। আর চাহিদার ওপর বেড়েছে কারিগরদের ব্যস্ততা। কার ছাতা কে আগে মেরামত করে নেবেন তার জন্য শুরু হয় প্রতিযোগিতা। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় বেশ কিছু ছাতা তৈরির কারিগর রয়েছে। যারা অন্যের দোকানের সামনে বসে সারাবছর কাজ করে থাকেন।

 

ভাঙ্গুড়া উপজেলার সবচেয়ে বড় শরৎনগর বাজারের সাপ্তাহিক হাঁট ঘুরে দেখা যায়, ছাতা মেরামতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগরেরা।

 

উপজেলার ছাতা কারিগর জাহাঙ্গীর আলম ও রইচ উদ্দিন জানান, বর্তমানে প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছাতার কাপড়, হাতল, স্প্রিং প্রভূতি জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। সরবরাহ রয়েছে অনেক কম। সারা বছর ধরতে গেলে তাদের বসেই থাকতে হয়। খুব একটা কাজ থাকেনা। তবে এই সময়টাতে তাদের কাজের চাপ বেড়ে যায় বহুগুণ। ছাতার কারিগরেরা প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। আর বিনিময়ে পাওয়া অর্থ দিয়ে চালান তাদের সংসার।

 

ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের চৌবাড়ীয়া মাষ্টার পাড়া মহল্লা থেকে ছাতা মেরামত করাতে আসা আব্দুর রহিম বাচ্চু বলেন, তিনটি ছাতা নষ্ট হয়ে ঘরে পড়েছিল। বৃষ্টির সময় ছাতার দরকার হয় তাই সারাতে এসেছি। কারিগরেরা হাতের সুনিপুণ কাজে সারিয়ে তোলেন ছাতার সমস্যা।

 

ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের শরৎনগর বাজারের কুন্ডু বাসনালয় এন্ড ষ্টোরের মালিক শ্রী তপন কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের এখানে খুচরা ও পাইকারী ছাতা বিক্রি হয়। বর্তমানে ফোল্ডিং ছাতা‍‍`র চাহিদা একটু বেশি। ভাঁজহীন দেশি ছাতা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেকোনো সময় বাড়তে পারে বৃষ্টি। তাই বেড়েছে ছাতার চাহিদা। উপজেলার পাইকারি-খুচরা সব দোকানেই ছাতা কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা‌।

 

একুশে সংবাদ.কম/সা.হ.প্র/জাহা

Link copied!