গাজীপুরের আলোচিত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম শহীদ হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামী আকাশ আহমেদ বাবুলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
গ্রেফতার মোঃ আকাশ আহমেদ বাবুল (৪৩) টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার বটটেকি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরে র্যাব-১৫ এর একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ২৫ জুন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা আদায়ে দুই শ্রমিক নেতাকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীর প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেডে গিয়েছিলেন শহিদুল ইসলাম। কারখানা থেকে বেরিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর তাদের ওপর হামলা হয়, তাতে প্রাণ যায় শহিদুলের। শহিদুল বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশন এর গাজীপুর জেলার সভাপতি ছিলেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কাস ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সভাপতি বাদী হয়ে গাজীপুর টঙ্গী পশ্চিম থানায় এজাহারনামীয় ৬ জন ব্যক্তিসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে এই মামলাটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার পরবর্তীতে পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
র্যাব কর্মকর্তা সাদিকুল হক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন বাবুল।
শহীদুলকে হত্যার ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় দায়ের করা মামলায় ২ নম্বরে বাবুলের নাম আছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না জানিয়ে মেজর সাদিকুল জানান, বাবুলকে গাজীপুরে পুলিশের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গেল ৯ জুলাই এই মামলার ৬ নম্বর আসামি মো. হানিফকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর ১২ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার হন রাইসুল ইসলাম ওরফে রাতুল, মো. জুলহাস আলী, সোহেল হাসান ওরফে সোহাগ এবং শাহীনুর ইসলাম ওরফে শাহীন। তারা সবাই টঙ্গীর সাতাইশ ও সাতাইশ চৌরাস্তা এলাকায় থাকেন, সেখানে বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :