বরগুনার আমতলীতে প্রায় ৬ বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালন করে আসছেন মো. অলিল মৃধা। এখন তার খামারে গরুর সংখ্যা ৮টি। এরমধ্যে এ বছরের পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ‘ভাগ্যরাজ’কে।
পরম যত্ন আর পরিচর্যায় লালন করা ওই গরুটির নাম ‘ ভাগ্যরাজ’। মো. অলিল মৃধা তার ৩ বছর বয়সী গরুটির দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা। গরুটির ওজন প্রায় ৩০ মণ। ইতিমধ্যেই বিশালাকার গরুটিকে নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে। বিশালাকার গরুটিকে দেখতে বিভিন্ন গ্রামের লোকজনসহ ব্যবসায়ীরা আসছেন এবং দাম করছেন। তবে গরুর মালিক মো. অলিল মৃধা এখনই ‘ভাগ্যরাজ’কে ছাড়ছেন না। তিনি আশায় আছেন-ভালো দাম পেলে ক্রেতার হাতে ‘ভাগ্যরাজ’কে তুলে দেবেন।
খামারি মো. অলিল মৃধা আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ছোনাউঠা গ্রামের বাসিন্দা তিনি , ফ্রিজিয়ান জাতের ৬টি গরু নিয়ে ৬ বছর আগে নিজ বাড়িতে খামার গড়ে তোলেন। বর্তমানে খামারে ৮টি গরু রযেছে। যার মধ্যে রয়েছে ৪টি ষাঁড়, ৪টি গাভী । এসব গরুর মধ্যে একটিকে এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন । অলিল মৃধা বলেন, যত্ন করে গরুটি বড় করেছি নাম দিয়েছি ‘ভাগ্যরাজ’। যার ওজন হবে ৩০ মণের মতো। গরুটি বিক্রির জন্য দাম চেয়েছি ১০ লাখ টাকা। সামনে কোরবানির ঈদে গরুটিকে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, গরুটির পেছনে দৈনিক ১২-১৫শ’ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। প্রচন্ড গরম ও তাপমাত্রার কারণে গরুটিকে প্রতিদিন ৫-৬ বার গোসল করাতে হয়। গরুটির মাথার ওপর সর্বদা ইলেকট্রিক ফ্যান ঘোরে। এই গরুটিসহ খামারের বাকি গরুগুলোকে খৈল, ভূষি, ভুট্টা ও ঘাস খাওয়ানো হয়।
আমতলী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: নাজমুল হক বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের গরু পালনে অনেকেই আগ্রহী হন না। তবে মো. অলিল মৃধা এতে সফল হয়েছেন। গরুটিকে যেন কোনো প্রকার ওষুধ প্রয়োগ করা না হয় তা মনিটরিং করা হচ্ছে। গরুর মালিককে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও কোরবানি উপলক্ষ্যে যেসব পশু বাজারজাত করা হবে, সেসব পশু সুস্থ-সবল কিংবা রোগাক্রান্ত কিনা তা নির্ণয়ের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।
একুশে সংবাদ/স.খ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :