AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গৌরীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা


গৌরীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুমকে ২ নং আসামি করে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন ২১ বছর বয়সী এক ভুক্তভোগী নারী। মামলাটি গত এপ্রিল মাসে দায়ের করা হলেও বিষয়টি গোপন করা হয়েছিল, সম্প্রতি তা প্রকাশ পায়।

 

মামলার অন্য আসামীরা হলেন- উল্লেখিত ইউনিয়নের নন্দী গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে আমির হামজা হিমেল (২৮), চরশ্রীরামপুর গ্রামের আবতাব উদ্দিনের ছেলে আবুল কালাম (৪৫), গৌরীপুর পৌর শহরের দাপুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মুন্সীর ছেলে বাহারুল মুন্সী (৩২), নন্দী গ্রামের মৃত সোলেমানের ছেলে রহিম আকন্দ, নন্দী গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ( ৩৬), চোরাইল গ্রামের মৃত মিরাশ উদ্দিনের ছেলে খাইরুল (২৪) ও সুমন (২৫)।

 

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ১ নং বিবাদী আমির হামজা হিমেলের সাথে চরশ্রীরামপুর এলাকায় ভাড়া থাকার সুবাদে পরিচয় হয় বাদীর। এরপর থেকে সে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে, এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের। গত ২৫ মার্চ রাতে বাদীর বাবা-মা বাসায় না থাকার সুযোগে হিমেল মিথ্যা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর গত ৭ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৮ ঘটিকার সময় বাবা ও ভাইকে নিয়ে ডৌহাখলা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমের বাড়িতে বিচার চাইতে গেলে বাদীকে একা রেখে তাদের অন্য একটি রুমে বসতে বলেন চেয়ারম্যান। এসময় সেখানে ৩ নং আসামি আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাবা ও ভাই অন্য রুমে যাওয়ার পর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম ও কালাম তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এক ঘন্টা পর ছাড়িয়া দিলে তৎক্ষণাৎ মামলা করার উদ্দেশ্য গৌরীপুর থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। আসামিরা পথরোধ করে তাদের মারধর ও খুন করার হুমকি দেয়। এদিন রাতে আসামীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীর ভাড়া বাসায় ভাংচুর, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩টি মোবাইল ফোন, বিবাহের জন্য জমানো ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এঘটনার পর বাদী নিরুপায় হয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকায় চলে যান।

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে মামলার ১ নং আসামী আমির হামজা হিমেলের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

 

সন্তানের চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাই অবস্থান করায় ডৌহাখলা ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি হোয়াটসঅ্যাপেরমাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া মেলেনি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

 

Link copied!