AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত


Ekushey Sangbad
মো.শাহাদত হোছাইন, কক্সবাজার
০৮:৫৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজারে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কক্সবাজারে ২ হাজার ৫২২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়াও, ১০ হাজার ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। শুধু সেখানেই প্রায় ৭শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

 

রোববার (১৪মে) বিকাল ৫ টায় জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এডিসি বিভীষণ কান্তি প্রেরিত তথ্যে এসব জানা গেছে।

 

জেলা প্রশাসন সুত্র আরো জানায়, কক্সবাজারে মোট ৫৭টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌরসভা ঘূর্ণিঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ১০ হাজার ৪৬৯টি বাড়িঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০।


উপকুলের আড়াই ২ লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রসমুহে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রিত লোকজনকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়।

 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৭শ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। এর বাইরে টেকনাফ ও উখিয়ায় বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। টেকনাফে প্রায় ৫শ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। মহেশখালীসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোতে ৫০-৬০টি করে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। কুতুবদিয়ায় ঝড়ের গতিবেগ কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতিও কম হয়েছে।

 

এছাড়া, ঘূর্ণিঝড়ে হতাহতের ঘটনা নেই বললেই চলে। সব মিলিয়ে ১৫-২০ জনের মতো হবে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

 

তিনি আরও জানান, ঘরবাড়ির পাশাপাশি মাঠে থাকা গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি ও গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগেভাগে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায় লবণের মাঠে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ের আগেই লবণ সংগ্রহ করা হয়েছে। যেসব লবণ সংগ্রহ করা যায়নি সেখানে মাটিতে গর্ত করে প্লাস্টিকের শিটে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। শুটকি উৎপাদনকারীদেরও কোনো ক্ষতি হয়নি। মাইকিং করে সব শুটকি আগেই দ্বীপগুলো থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে, আবহাওয়া অফিস কর্তৃক ঘুর্ণিঝড় মোখার ১০নং মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩নং স্থানীয় সংকেত প্রদান করলে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আশ্রয় নেওয়া লোকজন বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি
 

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!