AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরবনে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি


Ekushey Sangbad
মাসুম বিল্লাহ্, শরণখোলা, বাগেরহাট
০৩:৪১ পিএম, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
সুন্দরবনে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি

পূর্ব সুন্দরবনে বনবিভাগের নাকের ডগায় বিভিন্ন খালে ও বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী বিভিন্ন মোহনায় অবৈধ বেহেন্দী জাল দিয়ে  চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে জেলেরা। আর এতে ধ্বংস হচ্ছে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ ও সাগরের কোটি কোটি ছোট পোনা। যার কারনে মৎস সম্পদে সংকট দেখা দিতে পারে বলে মৎস ব্যবসায়ীদের ধারনা।

 

সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ আহরনের সাথে জড়িত ও কর্মরত জেলেরা জানায়, পিরোজপুর, তুষখালি, মঠবাড়িয়া, বরগুনার পাথরঘাটা, চরদুয়ানী, পদ্মা সুলিজ, মোরেলগঞ্জ, সাপলেজা, শরণখোলার রাজেশ্বর, বগি, রাজাপুর, সোনাতলা, খুড়িয়াখালী গ্রামসহ অন্যান্য এলাকার কতিপয় জেলেরা এলাকার রাঘব বোয়ালদের সহযোগীতায় বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুন্দরবনের কালামিয়া ভারানী হতে শ্যালা নদীর মোহনা, কটকা, দুধমুখি নদীর মোহনা, দুবলারচর, ডিমেরচর, শুকপাড়া,বাদামতলা, ছাপড়াখালিসহ বনের বিভিন্ন নদী ও  খালের মোহনায় ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ বেহেন্দী জাল (বাঁধা জাল) পেতে চিংড়ি মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে। আর এতে চিংড়ি মাছের সাথে আটকা পড়ছে মণকে মণ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ। জেলেরা জাল টেনে শুধু টাইগার চিংড়িসহ বিভিন্ন জাতের চিংড়ি মাছ রেখে অন্য মাছের পোনা নদীতে ফেলে দেয়। প্রতি বছর ফাল্গুন মাস থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত সময়ে জেলেরা চিংড়ি ধরার নামে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ ধংসলীলায় মেতে ওঠে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতি অমাবশ্যা পূর্ণিমায় শত শত জেলে নৌকা ও  ট্রলার নিয়ে অবাধে ছোট ফাঁসের বেহেন্দি জাল দিয়ে চিংড়ি মাছ ধরছে জেলেরা। এতে মারা পড়ছে কোটি কোটি অন্য প্রজাতির মাছের পোনা।

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কতিপয় জেলে জানান, এলাকার ক্ষমতাশীন দলের লোকেদের ছত্রছায়ায় ও বনবিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে এ ধরনের কর্মকান্ড সুন্দরবনের নদী, খালে ও সাগর মোহনায় অবাধে নিষিদ্ধ বেহেন্দী জাল বছরের পর বছর চালু থাকলেও একটি অজ্ঞাত কারনে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে। ধারনা করা হচ্ছে এখানে তাদের বড় একটি স্বার্থ রয়েছে।

 

বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী মোহনায় ও সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে ফ্রিষ্টাইলে নিষিদ্ধ বেহেন্দী জাল (বাধা জাল) দিয়ে  ধংস করছে সাগরসহ সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ। এর সাথে বনবিভাগের এক শ্রেণীর অসাধু বনরক্ষীরা জড়িত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন এভাবে চলতে থাকলে অদুর ভবিষ্যতে সুন্দরবনসহ এ অঞ্চলের নদ-নদীতে কোন মাছ পাওয়া যাবে না।  

 

এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ও শরণখোলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, সুন্দরবনের নদীতে নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল পাতার খবর তাদের জানা নেই বিষয়টির খোঁজ খবরসহ কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা নেবেন বলে আস্বস্থ করেন।

 

সুন্দরবনের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা(সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, বেহেন্দী জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তার পরেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে ও এর সাথে বনবিভাগের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী জড়িত থাকলে তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!