AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড


Ekushey Sangbad
ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড়
০৭:০৪ পিএম, ১৩ মার্চ, ২০২৩
সন্তানকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড

পঞ্চগড়ে রত্না নামে ৬ মাস বয়সী এক কন্যা শিশুকে হত্যার দায়ে নাজিমুল হক ওরফে নাজমুল নামে এব বাবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছি আদালত।

 

সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এ আদেশ দেন।

 

জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কে নাজিমুলের সাথে বিয়ে হয় একই এলাকার রশিদুল ইসলামের মেয়ে রশিদার। বিয়ের পর এক পর্যায়ে ছেলে সন্তান জন্ম না হয়ে পরপর তিন মেয়ে সন্তান জন্ম নেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে পারিবারিক কলহে পড়েন নাজিমুল। এক পর্যায়ে গত গত ২০১৯ সালে ৩১ মার্চ রাতে শিংরোড পূর্ব জয়ধরভাঙ্গা গ্রামে স্ত্রীসহ সন্তানদের ধারালো অস্ত্রদিয়ো এলোপাতারি আঘাত করে সে। এদিকে ৬ মাসের কন্যা শিশুকে এক পর্যায়ে হত্যা করে নাজিমুল। স্ত্রীসহ অন্য দুই সন্তানদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘাতক বাবা পালিয়ে যায়।

 

স্থানীয়দের সহায়তা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় ১৯ সালের পহেলা এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় শিশুটির নানা রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাজিমুলসহ তিনজনের নামে মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ চার বছরের মাথায় নাজিমুল হককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আদেশ দেন আদালত।

 

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত নাজিমুল হক পঞ্চগড়ের শিংরোড পূর্ব জয়ধরভাঙ্গা গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে।

 

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রীয় পক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবি (পিঃ পিঃ) অ্যাডভোকেট মো: জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই রায়ে যথাযগ্য রায় প্রকাশ পেয়েছে। আদালতের এই রায়কে সাধুবাদ জানাই। এতে করে পঞ্চগড়ে এমন অপরাধের প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করছি।

 

আসামী পক্ষের আইনজীবির দাবী আদালত যথাযথ পর্যালোচনা না করেই মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রদান করেছেন। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!