AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

১৮তম স্ত্রীর সহযোগিতায় ১৭তম স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর ফাঁসি


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,রংপুর
০২:১৪ পিএম, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩

১৮তম স্ত্রীর সহযোগিতায় ১৭তম স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর ফাঁসি

রংপুরের পীরগঞ্জে ১৭তম স্ত্রী তানজিনা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী আবু সাঈদকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। মামলার অপর আসামি আবু সাঈদের ১৮তম স্ত্রী তাছকিরা বেগমকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এম আলী আহমেদ এ রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না আসামি আবু সাঈদ।  

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার অনন্তরামপুর গ্রামের তাজিম উদ্দিনের মেয়ে তানজিনা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার পালগঢ় গ্রামের আজিমুদ্দিনের ছেলে আবু সাঈদের বিয়ে হয়। তানজিনা ছিলেন আবু সাঈদের ১৭তম স্ত্রী। পরে আবু সাঈদ তাছকিরা বেগম নামে আরো এক নারীকে বিয়ে করেন।

 

১৫ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আবু সাঈদ তার নববিবাহিত স্ত্রী তাছকিরার সহযোগিতায় ১৭তম স্ত্রী তানজিনাকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ গুম করতে ফেলে দেন পাশের ধানক্ষেতে। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি পীরগঞ্জ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন নিহত তানজিনার বাবা তাজিম উদ্দিন।

 

ঐ বছরের ১৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়াউল হক। ৩০ জুলাই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জামিন পেয়ে কিছুদিন আদালতে হাজিরা দিয়ে ২০১১ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে পলাতক রয়েছেন আবু সাঈদ। অন্যদিকে তাছকিরা বেগম ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জামিন পেয়ে ২০১৪ সালের ১৮ মে থেকে পলাতক।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি তাজিবুর রহমান লাইজু বলেন, যৌতুকের লোভে একের পর এক বিয়ে করছিলেন অভিযুক্ত আবু সাঈদ। তানজিনাকে বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুকের মধ্যে ১০ টাকা দেন তার বাবা। বাকি ১৫ হাজার টাকার দাবিতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন আবু সাঈদ। আজ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। এ রায়ে সন্তষ্ট আমরা।

 

একুশে সংবাদ/আ.ছা.প্রতি/এসএপি
 

Shwapno
Link copied!