AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাদারীপুরে চায়না দোয়াইর জালের বিস্তার, হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,মাদারীপুর
০১:৩৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মাদারীপুরে চায়না দোয়াইর জালের বিস্তার, হুমকির মুখে মৎস্য সম্পদ

মাদারীপুরের নদ-নদী, খাল-বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ‘চায়না দোয়াইর’ নামে এক প্রকার ঘন জালে সয়লাব হয়ে গেছে। জলাশয়ে এই বিশেষ ধরণের জাল পেতে অবাধে মাছ শিকার করছে জেলে ও মৎস্য শিকারীরা। এই জালে ধরা পড়ছে সব ধরণের ছোট-বড় মাছ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাছের পোনা। ফলে বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়ছে মৎস্য সম্পদ।

 

এ ধারা অব্যাহত থাকলে একেবারে মৎস্য শূণ্য হয়ে পড়বে জেলার মৎস্য ভান্ডার। কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ‘চায়না দোয়াইর’ জব্দ ও অভিযুক্তদের জরিমানা করলেও থামছে জেলে ও মৎস্য শিকারীদের দৌরাত্ম। এখনই ‘চায়না দোয়াইর’ দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ না করা হলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারের কোনো উদ্যোগ কাজে আসবে না।

 

সংশি­ষ্ট সূত্র, নদীপাড়ের বাসিন্দা ও জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি ‘চায়না দোয়াইর’ জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে অসাধু মৎস্য শিকারীরা। প্রায় ৬০ থেকে ৮০ ফুট লম্বা একেকটি চায়না দোয়ারি জালের দাম ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। লোহার ৪টি শিক দিয়ে খোঁপ-খোঁপ আকারে থাকে এই ‍‍`চায়না দোয়াইর‍‍`তে।

 

অতি সূক্ষ ঘণ চায়না দোয়াইর জালের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো নদ-নদী, বিল-বাওর বা অন্যান্য জলাশয়ে মাটির সাথে লম্বা-লম্বিভাবে লেগে থাকে এবং দু‍‍`দিক থেকে মাছ ঢুকতে পারে। চায়না জালের এ ফাঁদে মাছ ধরতে মাছের কোন খাবার বা টোপ দিতে হয় না। ফলে চিরায়িত মাছ ধরার যেসব কৌশল দিয়ে মাছ ধরে যারা জীবিকা নির্বাহ করে; তারা হতাশ এমন পদ্ধতিতে।

 

সহজে মাছ ধরা পড়ে বলে এতে আয় বেশি, অন্যদিকে পরিশ্রমও কম। তবে গত কয়েক বছরে মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় সে পরিস্থিতি থেকে কিছুটা উন্নতি হলেও থেমে নেই নির্বিচারে মাছ শিকার। নদ-নদীতে থাকা মিঠা পানির সব ধরণের দেশি মাছ সূ² এই ‘চায়না দোয়ারি’ জালে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির এই প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কৈ, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ প্রাকৃতিক সব মাছ এই সর্বশেষ প্রযুক্তির চায়না দোয়ারি জালে নিধন করা হচ্ছে। এমনকি মাছের ডিমও ছেঁকে ওঠে এই চায়না দোয়ারি জাল থেকে।

 

সেই সাথে কুচিয়া, ব্যাঙ, সাপসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণিও মারা পড়ছে। এই পদ্ধতিতে মাছ শিকার অব্যাহত থাকলে মিঠা পানির দেশি মাছ দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৎস্য সম্পদ ধ্বংসের সর্বশেষ সংযোজন ‍‍`চায়না দোয়াইর‍‍` বা ঘন জাল। এখনই এর ব্যবহার বন্ধ না করা হলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারের কোনো উদ্যোগ কাজে আসবে না বলে মনে করেন সচেতন মহল।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি/

Link copied!