AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সহসাই চালু হচ্ছে না ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
০৭:৩৮ পিএম, ২১ জুন, ২০২২
সহসাই চালু হচ্ছে না ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর

ছবি: সংগৃহীত

“অবশেষে চালু হচ্ছে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর ” এ খবরটি ছড়িয়ে পড়লে সারা জেলা জুরে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের জােয়ার। সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে আসতে থাকে অভিনন্দন। তবে খবরটি নিতান্তই গুজব বলে স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেন এবং জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান। 

৪২ বছর ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বিমানবন্দরটি ১৯৪০ সালে ঠাকুরগাঁও শহর থেকে ৮ কিলােমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ সড়কের পাশে মাদারগঞ্জ এলাকায় ৫৫০ একর জমির উপর নির্মিত করে বৃটিশ সরকার । স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে এর যােগাযােগ ছিলো। কিন্তু ১৯৮০-৮১ সালে লােকসানের অজুহাত এ বিমান বন্দরটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণের দাবির মুখে ১৯৯৪ সালে  ১ কােটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রানওয়ে মেরামতসহ কিছু সংস্কার কাজ করা হয়। টাকা খরচ হয় ঠিকই, কিন্তু বিমানবন্দর আর চালু হয়নি। পরবর্তীতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ বিমান বন্দরটি পুনরায় চালুর উদ্যােগ নেয়া হয়, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই উদ্যােগও ভেস্তে যায়। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করে ১ বছরের মধ্যে তা চালু করার আশ্বাস দেন। তিনিই আবার পরের বছর ২০১৭ সালর ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বলেন, বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব নয়। 

বর্তমান বিমানবন্দরের রানওয়েটি স্থানীয় গ্রামবাসী যে যার মতো করে ব্যবহার করে আসছে। সারা বছরই এর রানওয়েত ধান, গম ও ভুট্টা সহ গৃহস্থালি পণ্য সামগ্রী শুকানাের কাজ চলছে। কেউ কেউ আবার ভুট্টা মাড়াইয়ের মেশিন পর্যন্ত বসিয়ে নিয়েছেন এখানে। ঈদ, পূজা সহ বছরের বিভিন্ন বিশেষ দিনগুলাে শিশু ও তরুণ-তরুণীরা রানওয়েটি বিনােদনের জায়গা হিসেবও বেছে নিতে শুরু করেছেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন “বিমানবন্দর সম্পর্কে আমি একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি মন্ত্রণালয়ে। আমার এ ব্যাপারে কারিগরী জ্ঞান নেই। আদৌ এটা চালু করা সম্ভব কি না তা তারাই বলতে পারবেন। তবে সহসাই এটা চালু হচ্ছে এমন ভাবার কােন কারণ নেই।

এতে সহজেই অনুমান করে নেয়া যায় দু’চার বছরের মধ্যে বিমান বন্দর চালুর সম্ভাবনা ক্ষীণ। ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু হলে এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে নিঃসন্দেহে। তবে নানা প্রতিবন্ধকতায় বারবার মুখ থুবড়ে পড়ছে এ সম্ভাবনা। 

এদিকে ঠাকুরগাঁওবাসীর দাবি এবং সম্ভাবনার দিকটি বিবেচনায় এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু করার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা নিবেন এমনটিই আশা করছে জেলার সর্বস্তরের মানুষ।

 

 

একুশে সংবাদ/বি.দা/এস.আই

Link copied!