AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজশাহীতে হুহু করে বাড়ছে করোনা, সংক্রমনের হার ৩০ ছাড়িয়েছে


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি
১২:৪৯ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২২
রাজশাহীতে হুহু করে বাড়ছে করোনা, সংক্রমনের হার ৩০ ছাড়িয়েছে

ছবি একুশে সংবাদ

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। জেলায় একদিনে রেকর্ড করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও সরকারের উর্ধতন দুইজন কর্মকর্তাও রয়েছেন।


সর্বশেষ সোমবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৬২ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের পজেটিভ আসে। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।

এর আগের দিন রোববার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয় ৭৭ জনের। যা নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শনিবার রাজশাহীতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ২২৮ জনের। এর মধ্যে আক্রান্ত রোগি শনাক্ত ছিল ২২ জনের। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে ওইদিন শনাক্তের হার ছিল ০৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অথচ একদিনের ব্যবধানে সংক্রমনের হার দাড়িয়েছে ৩৩ শতাংশের উপরে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ২০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে জেলার ১০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ২১ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এছাড়াও হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়। যার মধ্যে ৪১ জনের করোনা পজেটিভ আসে।


ইতিমধ্যে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, বাগমারা আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ছাড়ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ ও রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মেডিক্যাল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. শামীম হোসাইন চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।


এদিকে, রাজশাহীতে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। চলতি জানুয়ারিতে করোনা শনাক্তের সর্বোচ্চ হার দায়িয়েছে রবিবারের রিপোর্টে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বলে জানাচ্ছে জেলা সিভিল সার্জন দফতর।

সূত্র জানায়, জানুয়ারির প্রথম সপ্তায় (১ থেকে ৭ জানুয়ারি) জেলায় ৯৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৫ জনের। করোনা শনাক্তের শতকরা হার ছিলো ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। দ্বিতীয় সপ্তায় সংক্রমণ বেড়েছে অন্তত ২ শতাংশ। ৮ থেকে ১৪ জানুয়ারি জেলায় ১ হাজার ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এই সপ্তাহে করোনা শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।


সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র আরও জানায়, ১ জানুয়ারি জেলায় ১৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা ধরা পড়ে। করোনা শনাক্তের হার ২ দশমিক ৮২ শতাংশ। পরদিন এক লাফেই শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশে। এরপর থেকে ক্রমেই বাড়ছে শনাক্তের হার।


গত ৭ জানুয়ারি শনাক্তের হার নেমে আসে ২ শতাংশের নিচে। সেদিন নমুনা কম পরীক্ষা হওয়ায় শনাক্তের হারও কমে যায়। ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারি ৫ দিনের মধ্যে চারদিনই করোনা শনাক্তের হার প্রায় ১২ শতাংশের কাছাকাছি। সর্বশেষ ১৬ জানুয়ারি রেকর্ড ৩৩ দশমিক ১৯ শতাংশ করোনা ধরা পড়ে।


এই পরিস্থিতিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক। তিনি বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। এটি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা নয়টি উপজেলায় হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রেখেছি। জেলার সদর হাসপাতাল চালুর প্রক্রিয়ায়ও শেষ পর্যায়ে। এছাড়া রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।


এদিকে, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী রাজশাহীতে এ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৬৮ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৮৫ জন। সিনোফার্ম টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৬০৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫ লাখ ২ হাজার ৩৩৪ জন।


এছাড়া মডার্নার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ২ হাজার ১৩৫ জন। এছাড়া ফাইজার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৪২ হাজার ৮২৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৬০৬ জন।          


একুশে সংবাদ/বাতেন/এইচ আই

Link copied!