AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মাদারীপুরের শিবচরে টানা বৃষ্টিতে শত শত বিঘা ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০১:৪৯ পিএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০২১
মাদারীপুরের শিবচরে টানা বৃষ্টিতে শত শত বিঘা ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত

মাদারীপুর প্রতিনিধি: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুদিনের টানা বৃষ্টির ফলে মাদারীপুরের শিবচরে রসুন, মসুর, কালোজিরাসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষি ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে গম, মসুর, সরিষা, খেসারি, শাকসবজি, আলু ও পেঁয়াজ বীজতলার জমি প্রায় ডুবু ডুবু অবস্থা। ক্ষেতের জলাবদ্ধতা এভাবে কয়েকদিন থাকলে মাঠের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের। এদিকে ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ঋনগ্রস্ত কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হবে বলে কৃষকরা জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বহেরাতলা, দত্তপাড়া, বাঁশকান্দিসহ বেশকয়েকটি ইউনিয়নের নিচু এলাকার ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। উপজেলার শতশত বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হওয়ার পথে। এতে কৃষকরা লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। কেউ কেউ ঋণ করে ফসল রোপন করলেও একটি ফসলও ঘরে তুলতে পারবে কিনা এই নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা। এমনকি কেউ কেউ ৮ থেকে ১০ বিঘা জমিতেও ফসল রোপন করে ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার লোকসান গুনতে হবে কৃষকদের। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

কুতুবপুর ইউনিয়নের শফিক আহম্মেদ জানান, আমরা পেয়াজ রোপনে সার, বীজসহ অন্যান্য খরচবাবদ বিঘাপ্রতি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ করেছি। গত দুদিন যাবৎ টানা বৃষ্টিতে পেয়াজের জমি পুরোটাই তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় প্রায় সব ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ রায় জানান, গত দুদিনের টানা বৃষ্টিতে মোট ৬৪ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানাবৃষ্টিতে উপজেলার বেশকিছু ফসলী জমি যেমন গম, মসুর, সরিষা, খেসারি, শাকসবজি, আলু ও পেঁয়াজ বীজতলার জমি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছি। ৩/৪দিন পর বোঝা যাবে কিরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

একুশে সংবাদ//দেলোয়ার হোসাইন//র.ন

Link copied!