AB Bank
ঢাকা শনিবার, ১১ মে, ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পাইকগাছায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট দিয়ে


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৭:৪৯ পিএম, ২৯ আগস্ট, ২০২১
পাইকগাছায় উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও ফার্মাসিস্ট দিয়ে

পাইকগাছায় ১০টি ইউনিয়নে ৬টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বছরের পর বছর মেডিকেল অফিসার না থাকায় চিকিৎসা সেবার কাজ চলছে উপ-সহকারী ও ফার্মাসিস্ট  দিয়ে। ফলে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এলাকার হতদরিদ্র মানুষ। 
    
জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ৬টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো মধ্যে গদাইপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাগজে কলমে রয়েছে ডাক্তার খুকু মনি। কিন্তু ডাক্তার সংকটের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে সেখানে রয়েছে সহকারী উপ-স্বাস্থ্য পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। রাড়ুলী ইউনিয়নের বাঁকা ও কাটিপাড়া বাজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার পপি রানী, কপিলমুনির আগড়ঘাটা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক্তার অরুপ রতন কিন্তু তিনি খুলনা কভিট হাসপাতে দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে রয়েছে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। গড়ইখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দায়িত্বে রয়েছেন ডাক্তার মাহামুদা হক জুই। তিনি দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। 

সেখান রয়েছে উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার শিপন হালদার। চাঁদখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডাক্তার মোহাম্মদ সাইফুল্লা ইবনে মান্নান দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক শাকিল মেহেদি রেজা। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও নতুন পদায়ন একজন নার্স, ও একজন পিয়ন (এমএলএসএস) থাকার কথা থাকলেও এগুলো চলছে উপ-সহকারী ও ফার্মাসিস্ট দিয়ে। এর মধ্যে গদাইপুর, আগড়ঘাটা ও গড়ইখালী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চলছে, একজন করে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে। এরমধ্যে বাঁকার ফার্মাসিস্ট থাকেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। 

এ সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যিনি ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন তিনি আবার ওষুধ দেয়ার দায়িত্বে রয়েছেন। প্রতিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার সহ ৫জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র একজন করে কর্মচারী। ডাক্তারসহ জনবল সংকটের কারণে এলাকাবাসী স্ব-স্ব এলাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সরেজমিনে এমনটি দেখা যায়। এদিকে, অবকাঠামো দিক দিয়ে পাকা ও আধুনিকায়ন হলেও গদাইপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চারিপাশ নোংরা ও স্যাঁতসাঁতে অবস্থা বিরাজ করে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজন কুমার সরকার বলেন, জনবল সংকট ও জোয়ারের পানিতে গদাইপুর উপ - স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেঝে ডুবে যায়। সে কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নিতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন, ৫০ শর্য্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৩ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১১ জন।  

সেখানে ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে ১২ টি। সে কারণে সাব-সেন্টারের ডাক্তার দিয়ে চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা। আমি প্রতি মাসে জনবল সংকটের কথা লিখে পাঠাচ্ছি মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। এ দিকে এ হাসপাতাল থেকে ৪ জন ডাক্তার কোভিট হাসপাতালে নিয়ে গেছে। যার কারণে রোগীদের সেবাদিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।


একুশে সংবাদ/বাবুল/আর
 

Link copied!