রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীর মাটিকাটা ইউনিয়নের ভাটোপাড়া এলাকায় নদী তীরবর্তী জেগে উঠা চরের কৃষকদের ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ার বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)র বরাবরে গত ৩রা জুন ২০
পৃষ্ঠার ১০৬০ জন লোকের গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা দিয়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ভুমিহীনরা।
আবেদনে স্থানীয় কৃষক ও ভুমিহীনরা উল্লেখ্য করেন,মাটিকাটা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভাটোপাড়া গ্রামের নীচে পদ্মার চরে আবাদী জমির মাটি কেটে বিক্রির করছে বালুমহল ইজারাদার। জেগে উঠা নদীর জমি আবাদের উপযুক্ত হওয়ার কারণে এখানকার স্থানীয় চাষিরা বোরো, মসুর, গম, মাস কলাই ও বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে থাকেন।
ড্রেজার দ্বারা আবাদি জমির মাটি ট্রাক্টরে করে বিক্রয় করে চলেছেন। যার কারণে ভূমিহীন কৃষকরা জমি চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মাটি তোলায় চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চলাচলকারীরা নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। ওই ঘাট দিয়ে ভাটোপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্রী যাতায়াত করে। ফুলতলা বাজারসহ এলাকায় বন্যার কোন রক্ষা বাঁধ নেই। বালু তোলার নামে আবাদি জমির মাটি রাতের আঁধারে উত্তোলন করে নিচ্ছে বালু মহল ইজারাদার।মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে ধুলাবালিতে শিশু ও বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলে এলাকার লোকজন জানান।
স্থানীয় লোকজন চরের জেগে উঠা জমি আবাদ করে আসছিল। কিন্তু পদ্মার ভাঙ্গনে জমিগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তারপার থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমিগুলো চাষাবাদ করার জন্য ভূমিহীন কৃষক সমিতির চাষিরা ২০১৩ সালে জেলা প্রশাসক বরাবর লীজ নেওয়ার জন্য আবেদন
করেছিলেন।গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাছমিনা খাতুন বলেন,ভাটোপাড়া এলাকবাসীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি।মাটি ও বালু তোলার স্থানে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া বলে তিনি জানান।
মুক্তার হোসেন