AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গুলিয়াখালী সৈকতের প্রবেশদ্বারে ভাঙা সাঁকো, বিপাকে পর্যটক


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:২৮ পিএম, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
গুলিয়াখালী সৈকতের প্রবেশদ্বারে ভাঙা সাঁকো, বিপাকে পর্যটক

সাগরের বুকে দৃষ্টিনন্দন ঢেউ, সৈকতে সবুজ গালিচা আর সারি সারি ম্যানগ্রোভের অপরুপ দৃশ্যে মনমাতানো সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী বিচ। এই বিচের একমাত্র প্রবেশদ্বার কাঠের সাঁকোটি ভেঙে গিয়ে চরম দূর্ভোগের জন্ম দিয়েছে।

করোনাকালেও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত গুলিয়াখালীতে দীর্ঘ কাদা মাটির পথ পাড়ি দিয়ে বীচে প্রবেশ করতে হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের।ফলে ৩ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৩০ মিনিটেরও বেশি।শুধু তাই নয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা প্রকৃতি প্রেমীদের কাদা মাটিতে নোংরা হওয়াসহ নাজেহাল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এমন দূর্ভোগ ও দূরাবস্থা নিরসনে এখনই কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে পর্যটক ও স্থানীয়রা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাঠের পুরাতন সাঁকোটি অর্ধেকাংশ ভেঙে গিয়ে পারাপার ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।বীচের সম্মুখে অবস্থিত কাঠের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ার ফলে দীর্ঘ কাদা মাটির পথ অতিক্রম করে বীচে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের।

এমতাবস্থায় বীচে যেতে ৩ মিনিট সময়ের স্থলে ৩০ মিনিট ও ক্ষেত্রবিশিষে ৪৫ মিনিটও ব্যয় করতে হচ্ছে।গুলিয়াখালীর মতো নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে এহেন দুরবস্থা সত্যিই হতাশাজনক বলে মনে করছেন আগত পর্যটক ও সীতাকুণ্ডের বিশিষ্ট জনেরা।

গুলিয়াখালীতে ভ্রমণে আসা ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মূসা আহমেদ বলেন, সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদেরকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বীচে যেতে হয়েছে যা অত্যন্ত কষ্টকর ও বিরক্তিরও বটে। অল্প সময়ের পথ যেতে ৩ গুণ সময় লেগেছে।সাঁকোটি সংস্কার করা না হলে পর্যটকরা গুলিয়াখালীর মতো দর্শনীয় স্থান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে বলে মনে করছেন তিনি।

গুলিয়াখালীতে ঘুরতে আসা ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সৈকত মীর, নিভীর আহমেদ জানান, শুনেছি গুলিয়াখালী অনেক সুন্দর তাই ঢাকা থেকে বেড়াতে এসেছি। কিন্তুু এখানে এসে যাতায়াত ব্যবস্থা দেখে খুব দুঃখ পেলাম।এসময় তারা সাঁকোটি স্থলে ব্রীজ নির্মাণের দাবি জানান।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন গিয়াস উদ্দিন বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা চাইলেই সাঁকোটি সংস্কার করে দিতে পারেন।সাঁকোটি সংস্কার করা হলে পর্যটকরা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।ফলে গুলিয়াখালী আরো পর্যটন বান্ধব হবে।

সীতাকুণ্ডের স্থানীয় সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন বলেন,সাঁকোর ভেঙে যাওয়া এবং দীর্ঘ কাদা মাটির পথ অতিক্রম করে বীচে যাওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক। যেখানে গুলিয়াখালী ও চন্দ্রনাথ পাহাড় সীতাকুণ্ডের সুনাম বয়ে আনছে সেখানে এমন দুরবস্থা সীতাকুণ্ডের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে।তাই আমি গুলিয়াখালীর সকল দূর্ভোগ নিরসনের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ৪ নং মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ হোসেন নিজামী বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা দেখে সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, গুলিয়াখালীকে সরকার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেনি।এটি একটি উপকূলীয় বন হওয়ায় এটি বন বিভাগের অধীনে পড়ে।সুতারাং এখানে সাঁকো সংস্কার বা নির্মাণের সুযোগ নেই।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!