AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তীব্র তাপদাহে শরবতের বাজারে চলছে হরিলুট


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
১২:০৮ পিএম, ২২ এপ্রিল, ২০২৪
তীব্র তাপদাহে শরবতের  বাজারে চলছে হরিলুট

গরমকে পুঁজি করে সিন্ডিকেটের থাবায় দাম বাড়িয়েছে দেশি ফলেরও। ক্রেতার চাহিদা যখন তুঙ্গে, দামও বিক্রেতা হাঁকিয়ে নিচ্ছেন আমদানিজাত ফল হলে। এ পরিস্থিতিতে অসহায় ভোক্তারা বলছেন, বাজারে চলছে হরিলুট; যা দেখার কেউ নেই।

 

গরমে চাহিদা যখন তুঙ্গে, তখন ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রতি গ্লাস শরবত বিক্রি করছেন ৩০ টাকায়। লেবু ও পানিসহ শরবত বানানোর অন্যান্য অনুষঙ্গের দাম বেড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে শরবতের দামও বাড়াতে হয়েছে।

ক্রেতারা বলছেন, গরমকে পুঁজি করে দাম বেড়েছে প্রতি গ্লাস শরবতের। এখানেও সিন্ডিকেট শুরু হয়ে গেছে। আগে যেখানে ৫-১০ টাকায় এক গ্লাস শরবত পাওয়া যেত, সেখানে প্রতি গ্লাসে এখন গুনতে হচ্ছে ৩০ টাকা পর্যন্ত। 
 

গরমের সুযোগে আখের আঁটিতে ৫০০ টাকা বাড়িয়ে আড়তদাররা বিক্রি করছেন ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে। ফলে বেড়েছে শরবতের দামও।

হাহাকার যখন গরমে, এক গ্লাস শরবতই তখন প্রশান্তি এনে দেয় অনেকের। তবে লেবু, বিট লবণ, বরফ কেউ আবার শরবতের রং সুন্দর করার জন্য মেশায় কৃত্রিম রং, অরেঞ্জ পাউডার। স্বাদ মিষ্টি করার জন্য স্যাকারিন, টেস্টিং সল্টও মেশানো হয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সেগুলো কতটা মানসম্মত।

ভোক্তারা বলেন, রাস্তার ধারের এসব শরবত, পানীয় মানসম্মত নয়। তবে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে না খেয়েও উপায় নেই।

এদিকে, মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন অনেকেই বাড়ি ফিরছেন তরমুজ ও বেল ফল কিনে। এ সুযোগে তরমুজ ৭০ টাকায় কেজি বিক্রি করছেন মিরপুর ১০-এর ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। এর সঙ্গে ১০ দিন আগে বিক্রি হওয়া ৬০ টাকার বেলের দাম এখন দ্বিগুণ।

ক্রেতারা বলেন, ফলের বাজারে আবারও সিন্ডিকেটের থাবা। দাম বাড়িয়ে কাটা হচ্ছে ভোক্তার পকেট। আর বিক্রেতারা বলেন, সরবরাহ সংকটে দাম বাড়ছে। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

প্রখর সূর্যতাপ আর ভ্যাপসা গরমে চাহিদা বেড়েছে হরেক রকমের বিদেশি রসালো ফলের। তবে অধিকাংশই বিক্রি হচ্ছে চড়া দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০-৫০ টাকা বেড়ে মাল্টার দাম ঠেকেছে কেজিতে ২৮০-৩০০ টাকায়। দাম বেড়েছে নাশপাতিসহ সব ধরনের আমদানি ফলের।

ক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়লেই আমদানি আর যোগান কমের অযুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে অসাধু সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, যা দেখার কেউ নেই।

 

একুশে সংবাদ/এনএস

Link copied!