রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক পদত্যাগ করেছেন—এমন গুঞ্জনে সরগরম হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। প্রশাসনিক ব্যর্থতা, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধে প্রশাসনের নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করে, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ছাত্র উপদেষ্টার দপ্তরে শাড়ি ও চুড়ি রেখে প্রতিবাদ জানায়। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধে প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক উপাচার্য বরাবর তার পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শ দপ্তরে নিয়মিত অফিস করছেন না ড. ইলিয়াছ প্রামানিক। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের উদাসীনতায় ক্যাম্পাসে পক্ষপাতমূলক ও দলকানা ছাত্ররাজনীতি বিস্তৃত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এসব দাবিকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, “আমি সবসময় ছাত্রদের সমস্যা সমাধানে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ঘটনার আগের রাতে রাত ২টা পর্যন্ত আমি জুলাইয়ে আহত শিক্ষার্থী জয়কে নিয়ে সিএমএইচ হাসপাতালে ছিলাম। আমার দপ্তর মূলত ছাত্রদের কল্যাণ ও পরামর্শ নিয়ে কাজ করে। রাজনীতি বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমার দপ্তরের আওতাভুক্ত নয়। তারপরও তারা কেন আমার দপ্তরে এমন কাজ করলো, তা আমার জানা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি উপাচার্য বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে কি না—তা জানা যায়নি।
একুশে সংবাদ/এ.জে