জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আবাসন সংকট দীর্ঘ ২০ বছরের। ২০ বছরে জবিতে একটি মাত্র হলের ব্যাবস্থা করা হয়েছে সেটিও নারী শিক্ষার্থীদের জন্য, যা মোট শিক্ষার্থীদের মাত্র ৫% শিক্ষার্থীদের সুবিধা দিতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস কেন্দ্রীক শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছে। দীর্ঘদিন আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা কিছুই পায়নি। লালফিতার দৌরাত্ম যেন জবি শিক্ষার্থীদের যম হয়ে গিয়েছে। আবাসন সংকটের ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না। শিক্ষার্থীরা একাধিকবার ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলেও আশ্বাস ছাড়া সঠিক কোন ফলাফল পায়নি।
দীর্ঘদিন আন্দোলন করে কোন ফলাফল না পাওয়ায় আজ (১৪ মে) জবি শিক্ষার্থীরা লং-মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। লং-মার্চটি মৎস্য ভবন পর্যন্ত এলে পুলিশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর টিয়ারশেল, লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে৷ শিক্ষার্থীদের উপর রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা একটি যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে যমুনায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ভাই-বোনদের উপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। এর যবাব সরকারকে দিতেই হবে। এবার জবিয়ানরা আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বে না।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ছিলোঃ-
১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. দ্রুত জকসু আইন পাস করে নির্বাচন দিতে হবে।
একুশে সংবাদ/জবি.প্র/এ.জে