বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক মূল্যায়নে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থ বছরে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে বিগত অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে ৭৭ নম্বর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল নবম।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া ইউজিসির সচিব অধ্যাপক ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতেও এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন, অভিযোগ ও প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সিটিজেন চার্টার এবং তথ্য অধিকার বিষয়ক পৃথক ছয়টি ফোকাল পয়েন্ট রয়েছে।
সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় সর্বমোট স্কোর ১০০ এর মধ্যে ৯৩.৭৫ লাভ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মূল কমিটির আহবায়ক হিসেবে রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং সদস্য-সচিব হচ্ছেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং ভবিষ্যতে শীর্ষ স্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা কামনা করেন।
এদিকে এবারও এপিএ র্যাংকিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরকৃবি), তাদের স্কোর ৯৯.৪৭। এপিএ মূল্যায়নে ৯৪.৪৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
একটি প্রতিষ্ঠানে বা সংস্থায় সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্ষেপে এপিএ চালু করে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়ন, সকল স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিরূপণ এবং সরকার ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন অনেকটা সহজ হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র এপিএ স্বাক্ষর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে সে মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।
একুশে সংবাদ.কম/আ.ই.জা.হা
 
    
 
                        

 
                                         
                                            -20221005083107.jpg) 
                                                        
                             একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
												 
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                             
                                            
