সুন্দরগঞ্জে তিস্তার বুকে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর বুক জুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। নানাবিধ ফসলে ভরে উঠেছে ধু-ধু বালু চর। দীর্ঘদিন থেকে ড্রেজিং এবং খনন না করায় কড়াল গ্রাসি ভরা তিস্তা নদীতে পলি জমে বর্তমানে আবাদি জমিতে পরিণত হয়ে এখন নালায় রুপ নিয়েছে।
জমি-জিরাত হারিয়ে অসহায় পরিবারগুলো ভিন্ন জেলা থেকে ফিরে এসে তিস্তার বুকে নানাবিধ ফসলের চাষাবাদে মেতে উঠেছে। বর্তমানে তিস্তার চরাঞ্চলে কুমড়া, আলু, লাউ, তিল, তিশি, বাদাম, ভুট্টা, তামাক, গম, মরিচ, পিয়াজ, বেগুন, টমেটো, করলাসহ, বিভিন্ন প্রকার ডাল, ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ হচ্ছে। উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শ্রীপুর, চন্ডিপুর, কাপাশিয়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ৪০টি চরের কৃষকরা খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ফসলের ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলসহ উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রবি ফসলের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষা হয়েছে। বিভিন্ন এনজিও’র সহায়তায় বিগত ৫ বছর পূর্বে তিস্তার চরাঞ্চলে ৮’শ হতে ১ হাজার হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ হত। বর্তমানে পৃষ্ঠ-পোষকতা এবং সার্বিক সহায়তার অভাবে কুমড়া চাষাবাদের পরিমাণ কমে গেছে। বেলকা নবাবগঞ্জ চরের কৃষক ফুল মিয়া জানান-এর আগে একতা এনজিও’র সহায়তায় ৫ বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করেছিলাম। বর্তমানে একতা এনজিও আর এই এলাকায় কাজ করছেন না। নিজ উদ্যোগে এ বছর ১ বিঘা জমিতে কুমড়া চাষ করেছি। ভাল ফলন পাবার আশা করছিলাম।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সত্যেন কুমার জানান-কুমড়া চাষাবাদে অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তবে গত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর কুমড়া চাষের পরিমাণ কম। কিন্তু চরাঞ্চলে অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ বেড়ে গেছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-০৩-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :