দীর্ঘস্থায়ী ভালোবাসায় যৌনতা মূল নিয়ামক নয়
একুশে সংবাদ : বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যৌনতা এবং যোগাযোগের ভালো দক্ষতা নারী-পুরুষের সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু সঙ্গী বা সঙ্গীনির পছন্দের খাবার কী তা জানা থাকা, কর্মক্ষম হওয়া এবং নিজের ভরণ-পোষণের যোগানে নিজেই সক্ষম হওয়া প্রভৃতি বিষয়ও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
২ হাজার ২০১ জন অংশগ্রহণকারীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে এক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন। রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখ বাড়ায় এমন সাতটি পারদর্শীতাকে মানদণ্ড ধরে ওই গবেষণাটি চালানো হয়। এর আগে পরিচালিত বেশ কয়েকটি গবেষণায় ওই মানদণ্ডগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
যোগাযোগ এবং দ্বন্দ-সংঘাত নিরসনের দক্ষতার পাশাপাশি ভালোবাসা বা রোমান্স করার সক্ষমতা, মনসিক ধকল মোকাবেলা, জীবন দক্ষতা, সঙ্গী-সঙ্গীনির সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকা এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজের সন্তুষ্টির উপাদান যথাযথভাবে খুঁজে বের করার যোগ্যতা থাকা প্রভৃতি বিষয়কেও নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখী হওয়ার নিয়ামক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
গবেষণায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি যুগলকে এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পর তারা নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কতটা সুখী তা জিজ্ঞেস করা হয়। এরপর বিজ্ঞানীরা এসব দক্ষতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সঙ্গী বা সঙ্গীনির শক্তির জায়গা ও দূর্বলতার সঙ্গে নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাদের সুখী বা অসুখী হওয়ার বিষয়টি মিলিয়ে দেখেন।
বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, যেসব যুগল নিজেদের মধ্যে কার্যকরভাবে যোগাযোগ করতে পারার কথা জানিয়েছেন, তারাই নিজেদের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুখী বলে জানিয়েছেন।
টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে ফিজির ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ প্যাসিফিক এর অধ্যাপক রবার্ট অ্যাপস্টেইন বলেন, নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখী হওয়ার জন্য সঙ্গী বা সঙ্গীনির সম্পর্কে যত বেশি যথাযথ জ্ঞান থাকবে তত বেশি ভালো।
তিনি বলেন, সঙ্গী বা সঙ্গীনি সন্তান জন্মদানে আগ্রহী কিনা এ ধরণের জটিল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৬-০১-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :