সৌন্দর্যের সংজ্ঞাকে বিকৃত করছে প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন
একুশে লাইফস্টাইল ডেস্ক : রং ফর্সাকারী প্রসাধনীর বিজ্ঞাপন সৌন্দর্যের ধারণাকে বিকৃত করে ব্যক্তিকে নিজের প্রতি ঘৃণা করতে শেখায়। যা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই চরম অবমাননাকর। অথচ এ ঘৃণাকে পুজি করেই শত শত কোটি টাকার বাণিজ্য করে চলেছে বহুজাতিক প্রসাধনী কোম্পানিগুলো।
এ ধরনের বিজ্ঞাপন ঘৃণ্য বর্ণবাদ সমর্থনের সমার্থক উল্লেখ করে নারীর মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা এবং রং ফর্সাকারী প্রসাধনী বিক্রি ও তার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামেই নয়, নারী মুক্তির অগ্রপথিক হিসেবে আমরা যেমন পেয়েছি বেগম রোকেয়াকে, তেমনি পেয়েছে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় বীর- প্রীতিলতাকে।
বাঙালি নারীর এ পথ চলায় নানা অনুশাসনের বাধা এসেছে ঠিকই, কিন্তু 'না' কখনোই 'নারী'র জীবনকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলতে পারেনি। বরং সকল বাধা ছিন্ন করে বাঙালি নারী এগিয়ে গেছে অভীষ্ট লক্ষ্যে।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রথম নারী প্যারাট্রুপার ক্যাপ্টেন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'আমার সহকর্মীরা পেরেছেন আর তাই আমাকেও পারতে হবে। বাকিদের জন্য আমাদের একটি পথ তৈরি করে দিতে হবে।
আলোকচিত্রী তাসলিম আখতার বলেন, রঙ ফর্সা হলে ভাগ্য বদলে যাবে এগুলো বলে আরো নারীদেরকে ছোট করা হয়।
মহাভারতের রানী দ্রৌপদী কালো হলেও, উপমহাদেশীয় এ বাস্তবতার বিরুদ্ধাচরণ করে মুনাফামুখী বহুজাতিক কোম্পানিগুলো নিজেদের ব্যবসায়িক কৌশল প্রয়োগ করছে বলে অভিমত লেখক ও প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষক পাভেল পার্থ।
বর্ণ নিয়ে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শত কোটি টাকার বাণিজ্যকে নৈতিকতা পরিপন্থী উল্লেখ করে অচিরেই এসব অন্যায় পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবি জানালেন এই শিক্ষাবিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, আমরা চাকরি পাই আমাদের যোগ্যতা দিয়ে। আর এ জাতীয় বিজ্ঞাপন আমাদের মেধা ও যোগ্যতাকে ছোট করে দেয়।
গায়ের রংকে পুঁজি করে নয়, বিকশিত হও আপন জ্ঞানে, কর্মে, সৃষ্টিশীলতা ও মননশীলতায় নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য এই চেতনা বিকাশেরই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২৫.১০.০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :