মৌমাছি নিয়ে কোরআনে রয়েছে একটি সুরা
একুশে সংবাদ: আমাদের এই দুনিয়ায় যা কিছুই আছে তা আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতের দান।আল্লাহর সব সৃষ্টিই অপূর্ব।তার ভিতরে মৌমাছি হলাে মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি।যাকে আরবিতে বলা হয় ‘নাহল’।আর এই মৌমাছির নামে পবিত্র কোরআনে ‘নাহল’ নামে একটি সুরাই অবতীর্ণ করেছেন অল্লাহ।
মৌমাছি আমাদের জন্য সুমিষ্ট মধু আহরণ করে। প্রিয় নবী (সা.) নিজেও মধু খেতে খুব ভালোবাসতেন। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস: ১২১)। মৌমাছি খুবই পরিশ্রমী পতঙ্গ।ফুলের রস মুখে নিয়ে, সেটা থেকে জলীয় অংশ দূর করে শতভাগ ভেজালমুক্ত এক ফোঁটা মধু তৈরি করতে যে শ্রম ও সময় ব্যয় করে সেটা সত্যিই খুব বিস্ময়কর।
এক পাউন্ড মধু বানাতে ৫৫০ মৌমাছিকে প্রায় ২০ লাখ ফুলে ভ্রমণ করতে হয়। আবার এক পাউন্ড মধু সংগ্রহ করতে একটি কর্মী মৌমাছিকে প্রায় ১৪.৫ লাখ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়! যা দিয়ে পৃথিবীকে তিনবার প্রদক্ষিণ করা সম্ভব।এতেই বোঝা যায় এই প্রাণীটি কতটা পরিশ্রমী।
এক জরীপে জানা যায়, পৃথিবীতে যত রকমের চাষ মানুষ করে থাকে তার ৭০ শতাংশ নির্ভর করে মৌমাছির ওপর। যদি মৌমাছি ফুলে ফুলে উড়ে মধু আহরণ না করে, তাহলে তাদের গায়ে ফুলের পরাগরেণু লাগবে না।
সেই রেণু অন্য ফুলের গায়ে না লাগলে হবে না পরাগায়ণ। খুব কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে আমাদের চেনাজানা কোনো গাছের অস্তিত্ব আর থাকবে না। আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘মৌমাছি যদি না থাকে, তাহলে মানুষ নিশ্চিহ্ন হতে সময় লাগবে চার বছর।’ তথ্যটি আসলেই খুব বিশ্বয়কর। আর তাই অল্লাহ-তায়ালা এই পতঙ্গটিকে এতটা মর্যাদা দান করেছেন।
একুশে সংবাদ//ক.ক.ন//০৩.১২.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :