ড্রীম হলিডে পার্ক
একুশে সংবাদ: বাংলাদেশে বিশ্বমানের থিম পার্ক ‘ড্রিম হলিডে’।অনন্য সাধারণ এ পার্কটি রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার পাঁচদোনা চৈতাব এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত। বিনোদন প্রিয় মানুষদের জন্য ড্রিম হলিডে পার্ক বিনোদনের অন্যতম একটি জায়গা।এখানে ছোট বড় সবার জন্য আলাদা আলাদা রাইড রয়েছে।
৬০ একরের বিশাল এলাকা জুড়ে নির্মিত এ পার্কে রয়েছে নাগেট ক্যাসেল, এয়ার বাইসাইকেল, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ইমু পাখি, মায়াবি স্পট, কৃত্রিম অভয়ারণ্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু-কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল ও জেট ফাইটার বোট, মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশবেষ্টিত নয়নাভিরাম ক্যানেল, রকিং হর্স সহ আরো অনেক রাইড।
এয়ার বাইসাইকেল, যা বাংলাদেশের পার্কের জন্য এক নতুন সংযোজন। এতে বসে দু’জন মানুষ অনায়াসে নিজ ইচ্ছায় প্যাডেল চালিয়ে পার্কের ওপর দিয়ে বেড়াতে পারবে।মায়াবী স্পটে কৃত্রিম জলজ প্রাণীর পিঠে চড়ে পৌঁছে যাবেন রূপকথার মৎস্যকন্যা মায়াবী দানবের দেশে। কিন্তু এখানে পৌঁছতে আপনাকে সাহসী হতে হবে।
ড্রিম হলিডেতে ছড়িয়ে রয়েছে টলমলে জলের একটি ছোট্ট খাল। লেকের মত দেখতে এ খালে চাইলে স্পীড বোটে যে কেউ চাইলে ঘুরে বেড়াতে পারবেন । খালের উপর তৈরি করা হয়েছে লন্ডন ব্রিজের মত একটি ব্রিজ। আছে সিডনী ব্রিজের আদলে তৈরি ব্রিজ।
এখানে আছে বিশাল সুইমিং পুল এছাড়া রয়েছে বিশাল পুকুর।
দিবা আর রাত্রি নামে দুটি চমৎকার কটেজ রয়েছে ড্রিম হলিডে পার্কে। অসম্ভব সুন্দর কটেজ দুটিতে চাইলে যেকেউ রাত্রি যাপন করতে পারেন।খাবারের জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার এছাড়া আছে আইস কর্নার এবং কপি কর্নার। এর পাশাপাশি রয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত ‘জামদানি হাউস’।
প্রবেশ মূল্য: ২০০ টাকা।
খোলা-বন্ধের সময়সূচী: প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৬ টা ৩০ মি. এর পর টিকিট বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
ড্রিম হলিডে পিকনিক স্পট:
ড্রিম হলিডে পার্কে মধুরিমা ও মায়াবী নামের দুটি পিকনিক স্পটও আছে। ছুটির দিনে পিকনিকের জন্য ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৮০ হাজার টাকা। ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর কার্য দিবসে ভাড়া কিছুটা কম। অর্থাৎ ৩০০ জনের বেশি হলে ভাড়া গুনতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আর ৫০০ জনের বেশি হলে ভাড়া দিতে হবে ৯০ হাজার টাকা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২ রুম সংবলিত একটি বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে পিকনিকের জন্য। এর পাশাপাশি দোতলা বাংলোর ব্যবস্থা রয়েছে।
যাতায়াতঃ
ঢাকা থেকে মাত্র ঘণ্টা খানেকের দুরত্তে অবস্থিত এ পার্কে ঢাকার কমলাপুর, মহাখালী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে যাওয়া যায়।গুলিস্তান থেকে মেঘালয় ল্যাক্সারী বাস ৩০ মিনিট পরপর নরসিংদির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।৯০টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে চলে যাওয়া যাবে।
আন্তনগর এগারোসিন্দুর ও মহানগর গোধূলী ট্রেনেও যেতে পারেন।অথবা, ঢাকা-সিলেট বিভাগের যে কোনো বাসে উঠলেই এ পার্কের গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।কিংবা কাঁচপুর অথবা টঙ্গী থেকে কালীগঞ্জ, ঘোড়াশাল হয়ে যাওয়া যাবে অনায়াসে।
একুশে সংবাদ//ট.ন.ন//০২.১১.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :