এই গরমে মিনি কক্সবাজার
একুশে সংবাদ : মৈনট ঘাট অবস্থিত ঢাকার দোহারে । যেখানে গেলে মনটা মুগ্ধতায় ভরে যাবে যে কারো ।বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশির দিকে । এই বিশাল জলরাশি , পদ্মায় হেলেদুলে ভেসে বেড়ানাে জেলেদের নৌকা দেখা আর পদ্মার তীরে খালি পায়ে হেটে বেড়ানাে , সব মিলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হবে আপনি এখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আছেন ।আর এই কারণেই অনেকে মিনি কক্সবাজার বলে থাকেন মৈনট ঘাটকে ।
নবাবগঞ্জ রুটে মৈনট ঘাটে আসলে ইচ্ছা করলে পাশাপাশি দেখে যেতে পারবেন নবাবগঞ্জের জজবাড়ি , উকিলবাড়ি , আনসার ক্যাম্প , খেলারাম দাতার বাড়ি সহ আরও কিছু দর্শনীয় স্থান।বৃষ্টির সময় অথবা একটু ঠাণ্ডার সময় এবং অবশ্যই বিকেল বেলা হচ্ছে এখানে ঘুরতে আসার উপযুক্ত সময় ।
গ্রীষ্মের সময়ে এখানে বাদামের চাষ হয় এবং ঘাটের একপাশ জুড়ে বাদামের বিস্তীর্ণ ক্ষেত দেখা যায়।
আবার বর্ষার সময়ে পুরােটা পদ্মার পানিতে তলিয়ে যায় ।সে এক দেখার মতাে দৃশ্য ।শীতের সময়েও এর সৌন্দর্যের কমতি নেই । তখন দেখা যাবে পদ্মা নদীর শান্ত রূপ । সন্ধ্যায় পদ্মা নদীতে সূর্যাস্ত দেখতে খুব ভালই লাগে । এখানে প্রচুর মানুষ আসছে , ঘুরছে ।তারা বেশির ভাগই ঢাকার আশে পাশের মানুষ। স্পীডবােট , ট্রলার কিংবা খেয়ানৌকা নিয়ে পদ্মার বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে অনেকেই । সূর্যাস্ত দেখা এখানের মূল আকর্ষণ ।
স্পীডবােটে মৈনট ঘাট থেকে ফরিদপুরের চর ভদ্রাসন যেতে হলে ১৬০ টাকা করে গুনতে হবে জনপ্রতি । স্পীডবােটে মৈনট ঘাট থেকে চর ভদ্রাসন যেতে সাধারণত সময় লাগে ১৬ থেকে ১৭ মিনিট । পদ্মায় ঢেউ থাকলে ২০ মিনিট । ট্রলার রিজার্ভ করে পদ্মায় ঘুরতে চাইলে ১ ঘন্টার জন্য ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা গুনতে হবে । অবশ্যই দামাদামি করে নিলে ভাল হবে ।
দের থেকে আড়াই ঘন্টার ভিতরে ঢাকার গুলিস্তান থেকে মৈনট ঘাটে যাওয়া যায়।রাজাধানীর গুলিস্তানের গােলাপ শাহের মাজারের সামনে থেকে সরাসরি মৈনট ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে যমুনা পরিবহন । ৯০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে আপনি পৌঁছে যাবেন মৈনট ঘাটে । ফেরার সময় একই বাসে আবার ঢাকা চলে আসবেন ।
এখানে আসলে বেশিরভাগ মানুষেরই ইচ্ছা থাকে পদ্মার তীরে বসে পদ্মার সেই নামকরা ইলিশ খাওয়ার । এখানে দু ' টি ভাতের হােটেল আছে । একটি আতাহার চৌধুরীর হােটেল অপরটি জুলহাস ভূইয়ার হােটেল। আতাহার চৌধুরীর হােটেলে ইলিশ ৬০ থেকে ৯০ টাকা । বড় সাইজের ইলিশ । খেতে চাইলে আগেই অর্ডার দিতে হবে । এছাড়াও বােয়াল ৮০ থেকে ১০০ টাকা , চিংড়ি ৬০ থেকে আশি টাকা । ভাত ১০ টাকা প্লেট।
সব শেষ একটা কথা হচ্ছে, সাতার না জানলে গােসল করার সময় পদ্মার বেশি গভীরে যাবেন না ।
একুশে সংবাদ //আ.ব্য.ন//১২.০৬.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :