AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঠেঙ্গারচরের নতুন নাম ‘চরমুনির’


Ekushey Sangbad

০৩:৫১ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
ঠেঙ্গারচরের নতুন নাম ‘চরমুনির’

একুশে সংবাদ : ঠেঙ্গারচরের নাম পরিবর্তন করে বর্তমান প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌসের নামের সাথে মিল রেখে চরমুনির করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন। এদিকে, নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল জয়নাল আবেদিন ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের লক্ষ্যে চর পরিদর্শনে আসেন। পরির্দশনের পর থেকে সেখানে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অস্থায়ী হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হচ্ছে। এর পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জসিমউদ্দিন জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে ওই চরে সরেজমিনে গিয়ে প্রতিবেদন প্রেরনের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের আলোকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঠেঙ্গারচরের পরিবেশ অন্যান্য চরের মতোই। আনুষঙ্গিক অবকাঠামো তৈরি করা হলে এখানেও জনবসতি স্থাপনে কোনো সমস্যা হবে না। জানা যায়, হাতিয়ার পূর্ব দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এবং নলচিরা ঘাট থেকে পূর্বদিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে প্রায় ১০বছর আগে মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা ১০ হাজার একর জায়গার এ বিশাল চর। এ চরে বনবিভাগের উদ্যোগে ২০১০-১১ সালে সরকারিভাবে বনায়ন শুরু হয়। ইতিমধ্যে চার হাজার ৮০০ একর জমিতে বনায়ন করা হয়েছে। ঠেঙ্গারচর নামটিও বন বিভাগের দেয়া। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ঠেঙ্গারচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের সিদ্ধান্তের পর সেটিকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করার লক্ষ্যে সরকারি সিদ্ধান্তেই সেখানে অস্থায়ী জেটি ও হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, ‘চরমুনির’ নামকরণের প্রস্তাবটি তিনি হাতিয়ায় আসার আগেই পাঠানো হয়েছে। হাতিয়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা ও (চাদঁপুরে বর্তমানে কর্মরত) আবু হাসনাত মো. মইন উদ্দিন বলেন, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর বদরে মুনির ফেরদৌস দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আন্তরিকতার পরিচয় দেন। যে কারণে স্থানীয় লোকজন তাঁর (জেলা প্রশাসক) নামে কোনো একটি চরের নামকরণ করতে দাবি তোলেন। এ জন্য ঠেঙ্গারচরের নাম পাল্টে ‘চরমুনির’ রাখার প্রস্তাব পাঠানো হয়। জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, ঠেঙ্গারচরের নামে পরিচিত থাকলেও নোয়াখালীর বর্তমান জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌসের নামের সঙ্গে মিলিয়ে চরমুনির করা হচ্ছে। এ জন্য জেলা প্রশাসক স্মারক নং ০০.৪২.৭৫০০.০২২.৪৬.০৩০.১৬-৩৬ তারিখ ০৪-০১-১৭ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে উক্ত চরটির নাম চরমুনির করার প্রস্তাব দেন। চরমুনির মৌজার জে.এল নাম্বার ৭৫ প্রস্তাব করা হয়। এরও আগে গত বছর ২৯ নভেম্বর ঠেঙ্গারচরের (চরমুনির) মৌজার জে.এল নাম্বার ৭৫ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করেছিলেন। এছাড়াও (সাবেক) জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মো. আতাউর রহমানের আগে তার তিনি নিজের নামেও একটি চরের নাম চরআতাউর করেন। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, ২০১৩ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তি নং-পঞ্চম (ব:শা:-১)/৩২/২০১২/৪১৭ তাং ২৯-১০-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ মূলে ঠেঙ্গারচরকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। তিনি আরও জানান, এ চরে বনবিভাগ ৫ ধাপে বনায়ন করেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫৬০ হেক্টর, ১১-১২ অর্থবছরে ৪০০ হেক্টর, ১২-১৩ অর্থবছরে ২০০ হেক্টর, ১৩-১৪ অর্থবছরে ৬০০ হেক্টর, ১৪-১৫ অর্থবছরে ২০০ হেক্টর বনায়ন করা হয়। এখানে কেওড়া গাছ লাগানো হয়েছে। গাছগুলোর উচ্চতা চার থেকে আট ফুট। নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস বিবার্তাকে জানায়, ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কাছে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য খালি জায়গা চেয়েছিলেন। ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর ঠেঙ্গারচরে (চরমুনিরে) রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, ঠেঙ্গারচরের (চরমুনির) দৈর্ঘ্যে আট কিলোমিটার ও প্রস্থে ৫ কিলোমিটার। এ চরে ১০ হাজার একর জমি রয়েছে। তার মধ্যে ৫০০ একরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের প্রস্তাব পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঠেঙ্গারচরের পরিবেশ অন্যান্য চরের মতোই। আনুষঙ্গিক অবকাঠামো তৈরি করা হলে এখানে জনবসতি স্থাপনে কোনো সমস্যা হবে না। যদিও এ মাসের শুরুতে বনবিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, মেঘনার মোহনায় হাতিয়া সংলগ্ন এই দ্বীপটি এখনও মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়। ঠেঙ্গারচরের নাম নিজের নামে নামকরণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, আমি বর্তমানে মিটিংয়ে আছি। এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে পরে কল দিয়েন। একুশে সংবাদ  // পপি // বিবা // ২৭.০২.১৭
Link copied!