বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পাঁচটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ কলকাতা ইডেনে অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ ছাড়াও রয়েছে সেমিফাইনালের মতো লড়াই। তাই অনেকেরই আশা, ভারতীয় ভিসা নিয়ে ইডেনে বসে প্রিয় দলের ম্যাচ উপভোগ করবেন। কিন্তু কারণ ভিসা জটিলতায় তাদের বেশিরভাগেরই হয়তো ইডেনে বসে খেলা দেখার স্বপ্ন পূরণ হবে না।
কলকাতায় বেড়াতে যাওয়া অনেক বাংলাদেশিরা বলছেন, প্রচুর সংখ্যাক ক্রিকেট ভক্ত এবার ‘ভিসার ফাঁদে’ পড়ে দেখতে পারবেন না বিশ্বকাপের মতো এত বড় আয়োজন। কারণ অনেকে ভেবেছিলেন, খেলার সূচি থেকে একমাস আগে ভিসা আবেদন করবেন, আর তা মিলে যাবে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে।
কিন্তু সে রকম হচ্ছে না মোটেও। বরং কেউ কেউ ভিসা আবেদন করে সাক্ষাৎকারের যে তারিখ পেয়েছেন, তা প্রত্যাশিত ম্যাচের তারিখের পরে। অর্থাৎ ভারতে আসতে পারলেও ইডেনের খেলা আর দেখা হবে না।
২৮ অক্টোবর কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে রয়েছে বাংলাদেশের বিপরীতে নেদারল্যান্ডসের ২২ গজের যুদ্ধ। এর দুদিন পর ৩১ অক্টোবরের সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশ-পাকিস্তানের লড়াই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট ভক্তরা। এছাড়াও ৫ নভেম্বর রয়েছে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের লড়াই, ১২ নভেম্বর পাকিস্তান-ইংল্যান্ড ম্যাচ। আর ১৯ নভেম্বর আছে ফাইনালের আগে সেমিফাইনাল যুদ্ধ।
বিদেশের মাটিতে আইসিসি বিশ্বকাপ দেখা অনেকের কাছে স্বপ্ন। প্রতিবেশী কলকাতার মাটিতে ৫টি বড় ম্যাচের আয়োজন থাকায় তাই অনেক বাংলাদেশি খুশি হয়েছিলেন। তবে ভিসা জটিলতায় সেই আনন্দ এখন অনেকটাই মলিন।
কয়েক মাস ধরেই কলকাতায় বেড়াতে আসা বাংলাদেশি পর্যটকরা অভিযোগ তুলছেন যে, প্রত্যাশিত সময়ে ভারতে যাওয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। নির্দিষ্ট সময়ে ভিসার জন্য টোকেন সংগ্রহ করে সাক্ষাৎকার দেয়ার পরও ছোটখাটো সমস্যার কথা বলে ভিসা বাতিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে, পর্যটকদের কেন এমন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সে সম্পর্কে নেই কোনো ব্যাখ্যাও। তবে এ কারণে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে কলকাতার ব্যবাসায়ীদের।
মার্কুইজ স্ট্রিট অ্যান্ড ফ্রিস্কুল স্ট্রিট ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক মনতোষ সরকার বলছেন, ‘বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়া সামনে আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। ভিসা সংক্রান্ত সমস্যার কারণে এমনিতেই কলকাতায় কমেছে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা। বিশ্বকাপের খেলা দেখতে বাংলাদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে এমনটা ভেবে প্রচুর বিনিয়োগ করেছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেই বিনিয়োগের টাকা ফেরতই উঠবে না, লাভ তো দূরের কথা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মধ্য কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় কমবেশি প্রায় দেড় শতাধিক আবাসিক হোটেল রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় হাজার কোটি টাকার ব্যবসাও হয় প্রতি বছর, যার সিংহভাগই আসে বাংলাদেশি পর্যটকদের থেকে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :