AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক বাড়াতে চায় ইসি


Ekushey Sangbad
মুহাম্মদ আসাদ
০৩:৫১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন: দেশি বিদেশি পর্যবেক্ষক বাড়াতে চায় ইসি

আগামী জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনী কার্যক্রম ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে এগুচ্ছে  নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মাঝে গত ২১ আগস্ট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর ঘোষনা দেওয়ায়  ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)  পর্যবেক্ষক দলের বিকল্প খুজতে এবং পর্যবেক্ষক বাড়াতে  বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে ইসি।

 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, কোনো দেশি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে তাদের পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন  কমিশন  থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য ইসি আগে আবেদন আহ্বান করেছিল। গত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ২১০টি আবেদনের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৬৮টি সংস্থাকে নিবন্ধনযোগ্য হিসেবে নির্বাচিত করে ইসি।

 

প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৬৮টি সংস্থার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি থাকলে তা লিখিতভাবে জানাতে বলেছিল কমিশন। নির্ধারিত সময়ে দুটি সংস্থার বিষয়ে আপত্তি আসে। এই আপত্তি নিয়ে শুনানি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। বাকি ৬৬টি সংস্থা নিবন্ধন  চূড়ান্ত।

 

বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবার  পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা অনেক কম। তাই এই সংখ্যা বাড়াতে আবার আবেদন আহ্বান করতে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনাররা আলোচনা করেছেন। চলতি সপ্তাহে পর্যবেক্ষক বাড়াতে  গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

 

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পক্ষ থেকে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর ঘোষনা দেওয়ায়  বিকল্প খুজতে এবং পর্যবেক্ষক বাড়াতে  বিভিন্ন দেশের সাথে যোগাযোগ শুরু করা হয়েছে।

 

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবীব খান  বলেন, বর্তমান কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে সব সময়ই আন্তরিক। এ কারণে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক দিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কমিশন চায়, উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পর্যবেক্ষক আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকুক। স্বচ্ছতা ও জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এটি প্রয়োজন। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত নিবন্ধনযোগ্য স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা আগের তুলনায় কম। তাই এই সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করে কমিশন।

 

ইসি সূত্র জানায়,  ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন ৮১টি দেশীয় সংস্থার ২৫ হাজার ৯০০ জন প্রতিনিধি।

 

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয়। ইসি একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালাও তৈরি করে। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে ৭৫টি সংস্থার ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

 

এর আগেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেতেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় ৬৯টি সংস্থার ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।

 

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা  বলেন, পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন দেওয়ার নিতে হলে সংস্থাটির নিবন্ধন থাকতে  হবে। সংস্থাকে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ হতে হবে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন, আছেন বা কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক, এমন কোনো ব্যক্তি সংস্থার প্রধান নির্বাহী বা পরিচালনা পর্ষদে বা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য হয়ে থাকলে সে সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

 

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম  বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠাবেনা। ইইউ জানিয়েছে, তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ দল পাঠাবে না। তবে তারা যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে। ইইউর চিঠিতে সহিংসতা বা নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়নি।

 

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চিঠি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল পেয়েছেন।  বৃহস্পতিবার(২২সেপ্টেম্বর)   নির্বাচন ভবনে ইইউ ই–মেইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ই–মেইলটি সিইসির কাছে পাঠিয়েছে। চিঠিতে ইইউর বাজেটস্বল্পতার কথা বলা হয়েছে।আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ।

 

এদিকে ইইউর চিঠিতে বলা হয়, গত জুলাই মাসে ঢাকা সফর করে যাওয়া ইইউর প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোসেপ বোরেল। সিদ্ধান্তের পেছনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ইইউর বাজেটেরস্বল্পতার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রয়োজনীয় শর্তগুলো পূরণ করা হবে কি না, তা এ মুহূর্তে যথেষ্ট স্পষ্ট নয়। এমন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও ইইউ বর্তমানে এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে থাকার ব্যাপারে অন্যান্য বিকল্প খতিয়ে দেখছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে ইইউর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়, তা নিশ্চিত করতে তারা সব ধরনের প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে।

উল্লেখ্য

 

সংবিধানে জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে।  ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন করার আইনি বাধ্যবাধকতা  রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা

Link copied!