মোটা চাল, ডিম, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ আর বয়লার মুরগীর সুখবর না থাকলেও চিকন চাল ও আটার দাম কিছুটা কমেছে। সবজির বাজার উর্ধমুখি। ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ থেকে ১৬০, হাঁসের ডিম প্রতি ডজন ২৪০ টাকা। বেড়েছে মোটা চালের দাম।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে ৪০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৭-১০ টাকা। বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা এবং ভারতের মাঝারি মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি দরে।
বুধবার (২২ আগস্ট) ঢাকার একাধিক বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
পণ্যবাজার উর্ধমুখী হওয়ার প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্য এবং নিম্ন আয়ের মানুষ। আয়ের সঙ্গে কিছুতেই সঙ্গতি রেখে চলা সম্ভব হচ্ছে না। অনেক পরিবার চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেকে বাজেট রক্ষায় কম কম জিনিস কিনছেন।
বাজারের অবস্থা নিয়ে অনেক ক্রেতা কথা বলতে নারাজ। আবার কেউ কেউ বলেছেন, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, এমন প্রশ্ন করাই ঠিক হচ্ছে না। আমরা বিরক্ত।
মনোহারি দোকানীরা জানান, একমাসের ব্যবধানে চিকন চাল নাজির কেজিতে ১-২ টাকা কমে প্রকারভেদে ৬৭ থেকে ৭৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৭২ টাকা কেজি দরে। ৫৩ টাকার মোটা চাল স্বর্ণা ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বয়লার মুরগী সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে যে বয়লার মুরগী বিক্রি হয়েছে ১৭০ থেকে ১৭৫ প্রতি কেজিতে, সেই বয়লার মুরগী আজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে।
নলামাছ ২৮০ এবং রুই মাছ ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে আমদানি কম থাকায় সব ধরণের মাছের দাম বেড়েছে। এখন আর মাছে-ভাতে বাঙালি এই কথা বলে আত্মসন্তুষ্টি লাভের সুযোগ নেই।
এবারে ভরামৌসুমেও বাংলাদেশের ইলিশের দাম হাতের নাগালের বাইরে। মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, এবছর মাছের আমদানি কম হওয়ায় দাম বেশি। মোকাম থেকেই তাদের উচ্চমূল্যে ইলিশ মাছ কিনতে হচ্ছে।
সবজির র বাজারে হাত রাখা মুশকিল। বাঙালির পাতে ইলিশ এবং সবজি ওঠবে না! দাম চড়া তাই কেনাকাটায় হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন গিন্নিরা। বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৪০, উচ্ছে হাকিয়েছে সেঞ্চুরী, কাকরোল ৬০ এবং লাউ প্রতিটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :