গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার হাইলজোড় গ্রামের শারমিন সুলতানা একাধারে একজন বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তা ও সফল নারী উদ্যোক্তা। তিনি ১৫ বছর ধরে একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি শৈশবের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছেন একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে।
তার উদ্যোক্তা যাত্রা শুরু হয় “ঘরের স্বাদ” নামের একটি অনলাইন পেজের মাধ্যমে। এখানে তিনি একদম স্বাস্থ্যসম্মত ও ঘরোয়া পরিবেশে তৈরি নানা রকম সুস্বাদু খাবার বিক্রি করেন। তার সিগনেচার পণ্য হলো ঘিয়ে ভাজা লাচ্ছা সেমাই, যা তিনি নিজ হাতে তৈরি করেন। এছাড়া তার হাতে তৈরি গরুর মাংসের আচার, বিভিন্ন নাড়ু, লাড্ডু ও পিঠা স্থানীয় ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
শারমিন সুলতানা বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলা নারী উদ্যোক্তা গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই গ্রুপে উপজেলার ৫০ জনেরও বেশি নারী উদ্যোক্তা যুক্ত আছেন। এছাড়া সারা দেশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার একটিভ নারী উদ্যোক্তা এখানে নিয়মিত তাদের ব্যবসায়িক পোস্ট ও পণ্য প্রচারণা করে থাকেন।
.jpeg)
তিনি জানান, “আমাদের লক্ষ্য একটাই— পিছিয়ে থাকবে না কোনো নারী। কাপাসিয়ার নারীদের একত্রিত করে আমরা একসাথে এগিয়ে যাচ্ছি, সফল হচ্ছি।”
নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন করেছেন। ভবিষ্যতে উপজেলা পর্যায়ে বিনামূল্যের সরকারি প্রশিক্ষণ আনতে চান তারা। এছাড়া প্রতি মাসে সাপ্তাহিক পণ্য প্রদর্শনী মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা অফলাইনে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছেন, যা তাদের পরিচিতি ও বিক্রয় বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
শারমিন সুলতানা বলেন,“আলহামদুলিল্লাহ, সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আমি দুই কন্যা সন্তানের মা, সংসার ও চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছি। আমার লক্ষ্য—নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি আরও নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা।”
তার মূলমন্ত্র—“আমরা নারী, আমরা পারি। চাকরি নয়, নিজ কর্মে দক্ষ হয়ে নিজেদের পরিচয় গড়ে তুলবো, পরিবারের পাশে দাঁড়াবো।”
একুশে সংবাদ/এ.জে