বিশ্বের সব জায়গায় একই সময়ে ঈদ উদযাপন হলেও বাংলাদেশে কেন একদিন পর ঈদ উদযাপন হয়, সেই প্রশ্ন রেখেছেন খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (সংগ্রহ) মো. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ অন্যান্য দেশে চাদ দেখা গেলেও অভিমানী চাঁদ শুধু আমাদেরকেই দর্শন দেয় নাই। কেয়ামত কি সৌদি আরবের একদিন পরে হবে বাংলাদেশে?
বুধবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই প্রশ্ন রাখেন মো. মনিরুজ্জামান। তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো।
জ্যোতির বিজ্ঞান (Astronomy) সম্পর্কে খুব একটা ধারণা নাই। তবে চাঁদ পশ্চিম দিকে আগে দৃশ্যমান হয় আর সূর্য পূর্বদিকে এটা তো ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি। এটা বোঝার জন্য জ্যোতির বিজ্ঞানী হওয়ার প্রয়োজন নাই।
পশ্চিমা বিশ্বে বিশেষ করে আমেরিকা,কানাডায় চাঁদ দেখা গেছে সেখানে আজ ঈদ। ইউরোপে চাঁদ দেখা গেছে সেখানেও আজ ঈদ। মধ্যপ্রাচ্যেও চাঁদ দেখা গেছে, পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেছে এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশের দিল্লিতেও চাঁদের দেখা মিলেছে, আজ সবাই ঈদ উদযাপন করছে।
অভিমানী চাঁদ শুধু আমাদেরকেই দর্শন দেয় নাই। কোন ফাঁকে, কোন চিপা দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে চাঁদ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ছাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত গিয়ে দর্শন দিয়েছে। সেখানেও আজ ঈদ।
পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ, চাঁদপুর ভোলা সবখানে আজ ঈদ। শুধু আমরাই আজকেও রোজা রাখছি।
বিতর্কের বিষয় হলো ঈদের দিনে রোজা রাখা হারাম। আমরা কি নিশ্চিত যে আজকের রোজা হারাম হচ্ছে না?
বিতর্ক আরও আছে।
আমাদের ধর্মমতে কদরের রাত সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত। প্রশ্ন হলো কদরের রাত কি সৌদি আরবে একদিন আর বাংলাদেশে আরেকদিন? যেখানে সময়ের ব্যবধান ৪ ঘন্টা মাত্র। আমরা মহিমান্বিত রাতটাও মিস করে যাই না তো?
এ প্রসঙ্গে অতি জ্ঞানী আমার এক জেষ্ঠ্য সহকর্মী প্রশ্ন করেছিলেন, "আপনি কি মনে করেন কেয়ামত সৌদি আরবের একদিন পরে হবে বাংলাদেশে?"
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।
একটা কাগজে ছোট্ট একটা লেখা, দূর থেকে খালি চোখে আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। তার মানে কি কাগজে লেখাটা নাই? আপনি চাঁদ দেখতে পান নাই তারমানে চাঁদ ওঠে নাই?
আমাদের একটি জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি আছে। তারা সারাদেশে খোঁজ খবর নেয়, প্রচুর মিটিং করে, সংবাদ সম্মেলন করেন তারপর ফলাফল ঘোষণা করেন "সৌদি আজ চাঁদ দেখা গেছে, কাল সেখানে ঈদ আমাদের পরশু।"
কেন জানি মনে হয় চাঁদপুরবাসীই সঠিক পথে আছেন।
ঈদ মুবারক
একুশে সংবাদ/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :